Rise of Bengali Kayastha In Hindu Caste System

 

In essence, ‘Kayastha’ is basically a class of Indian Hindu religion. But from where the origin of this class or among the Bengali people ‘Kayastha’ is meant only to whom, is still unknown to many of us. In this case, to know about ‘Kayastha’ class, it is necessary to discuss a few things about ‘Hindu’ religion first. Rise of Bengali Kayastha In Hindu Caste System

 

History of Hinduism:

Looking at India or the history of the world, one thing is clear that India has occupied the highest place in the world since ancient times for spiritual knowledge. The informations that the wise persons such Maharshi Balmiki, Byasdedv, Sukracharjya, Sankaracharjye, Chankaya has discovered, are steel effective in our daily life. In this case, the spiritual greatness and kindness of Hindu religion will become more clear after reading the speech of Swami Vivekananda in Chicago Conference. Now the question is, what is the Hindu religion?

Swamiji mentioned the answer of this question in his speech also. It may be astonishing to hear that, in reality there was no sign of ‘Hindu’ religion in the world history. The Hindu religion is actually an imitation of the ancient ‘Arya’ and this word originally came from the name ‘Sindhu’. At that time the Persian merchants were came to India for business. They could not pronounce the word ‘Sindhu’, for that they changed the term into ‘Hindu’.

As such, all the inhabitants of the Sindhu river bank are known as ‘Hindu’. But later, when the external Muslim dynasties started spreading their empire through the river ‘Sindhu’, the ancient inhabitants of India began to make themselves known as ‘Hindu’. For this reason, there is a distinction between the regional ethnicity of the Hindus in different regions of India.

So it is clear that, in reality there was no religion named ‘Hindu’ in the world history. But since the past time the Hindus are using the religious scripture of Aryas, named ‘Veda’.

 

Bengali Hindus:

The Hindu members of the Bengal province of India, are known as the Bengali Hindu. But in reality, Bengalis are not entirely ‘Hindu’.

It can heard that the past Bengali king of Gaur, named Shasanka used to worship Lord Shiva. But, before king Ballal Sen there was no sign of Vedic religion in Bengal.

At first there was to main race in India, one was the ‘Arya’ of the north side and another was the ‘Dravira’ from the south. In reality, Berngalis are the mixture of this two race.

Bengali Hindus are mainly used to worship Lord Shiva, Lord Bishnu and Goddess Durga.

 

Hindu Caste System:

Hinduism is divided into four different castes according to the caste system mentioned in the holy scripture of the Hindu religion ‘Geeta’, they are – Brahmin, Kshatriya, Vaishya and Shudra. But now-a-days the rise of some other castes has been observed in Hinduism.

Hindu caste system

Specifically in Bengal, except Brahmins the mention of the remaining castes can not be traced. Today, the Bengalis themselves do not clearly understand who among them are Kshatriya, who are Vaishya, or who are the Shudra; Instead, now a large part of Bengali is known as ‘Kayastha’. Now the question is, where is the origin of this ‘Kayastha’ caste?

It is heard from many Bengalis that the past Bengali Kshatriyas are formerly known as ‘Kayastha’. because, after ‘Brahmin’, ‘Kayastha’ is considered honorable in society. But who is this ‘Kayastha’? Why they are respected in society?

Bengali Kayastha:

‘Kayastha’ is basically a caste of the Bengali Hindu nation. For that in the whole of India, most of the ‘Kayastha’ people are found in Bengal.

It is known from ancient scriptures that between nine and eleven century, a large part of Bengal is known as ‘Kayastha’, they was also known as ‘Karan-Kayastha’. It is known that they were mainly one-class officials, who are referred to as authors or Accountants. In various ancient scripts of Bengal, the word ‘Karan’ is used either as author, and also as an accountant; In the ‘Brihaddharma’ scripture, ‘Karan’ and ‘Kayastha’ is same.

According to the history of Bengal and India, ‘Chitagupta’ is believed to be the primogeniture of the ‘Kayastha’ caste. Kayasthas are also known as ‘Kshatriya’, ‘Good hybrid Shudra’ and ‘Barnhindu’.

Chitragupta Maharaj

In ancient times, the king of Bengal, the zamindars, mostly belonged to Kayastha class. People of high and distinguished people of the society are included in this category; for that, in Bengali Hindu society Kayasthas are respected after Brahmin.

During the ‘Pal’ and ‘Sen’ periods in Bengal history and later, during the Muslim and British periods, the Kayasthas used to play high role in the form of education and play a special role in the development of literature, industry, economy and society. The title of ‘Dutta’, ‘Pain’, ‘Dey’, ‘Gupta’, ‘Nag’, ‘Kar’, ‘Aditya’, ‘Nandi’, ‘Bose’, ‘Mitra’, ‘Dhar’, ‘Rakkhit’, ‘Dev’, ‘Vadra’, ‘Palit’, ‘Ghosh’, ‘Guha’ are mainly belonging to the ‘Kayastha’ category.


হিন্দুধর্মে বাঙালী কায়স্থ শ্রেণীর উদ্ভব

[Rise of Bengali Kayastha In Hindu Caste System]

 

এককথায় বলতে গেলে ‘কায়স্থ’রা মূলত ভারতীয় হিন্দু ধর্মের একটি শ্রেণীবিশেষ। তবে কোথা থেকে এই শ্রেণীর উদ্ভব বা বাঙালীদের মধ্যে ‘কায়স্থ’ বলতে ঠিক কাদেরকে বোঝানো হয়, সেকথা এখনও আমাদের অনেকের কাছেই অজানা থেকে গেছে। এক্ষেত্রে ‘কায়স্থ’ শ্রেণী সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে ‘হিন্দু’ ধর্ম সম্পর্কে সামান্য কিছু আলোচনা করে নেওয়া আবশ্যক।

 

হিন্দু ধর্মের ইতিহাসঃ

ভারত তথা বিশ্বের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে একটা কথা পরিষ্কার বোঝা যায় যে, আধ্যাত্মিক দিক থেকে প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষ সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বা‌গ্রে স্থান অধিকার করেছে। মহর্ষি বাল্মীকি থেকে শুরু করে ব্যাসদেব, শুক্রাচার্য্য‌‌, শঙ্করাচার্য্য‌‌, চাণক্য প্রমুখ ঋষিগণ যেসকল তথ্যের উদঘাটন করে গেছেন, তা আজও আমাদের দৈনন্দিক জীবনে সমভাবে কার্যকরী। এক্ষেত্রে আমেরিকার শিকাগো সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতাটি পড়লে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিক মহত্ম এবং উদারতার বিষয়টি আরও খানিকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হল, হিন্দু ধর্ম কি?

এই প্রশ্নের উত্তরও স্বামীজী তাঁর একটি বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, বাস্তবে বিশ্বের ইতিহাসে ‘হিন্দু’ ধর্ম নামে কোনও ধর্মই কোনদিন ছিলনা। ‘হিন্দু’ ধর্ম আসলে ভারতের প্রাচীন আর্য্য‌‌ জাতির ধর্মীয় কার্যকলাপের অনুকরণ মাত্র এবং এই শব্দটি মূলত এসেছে ‘সিন্ধু’ থেকে। ভারতে বাণিজ্য করতে আসা পারসিক ঔপনিবেশিকরা ‘সিন্ধু’ শব্দের উচ্চারণ করতে জানতনা, তাই তারা সেটির বিকৃত উচ্চারণ করে তাকে ‘হিন্দু’তে রূপান্তরিত করে ফেলেন।

সেই হিসাবে বলতে গেলে সিন্ধু নদীর এপারে বসবাসকারী সকল অধিবাসীই ‘হিন্দু’ নামে পরিচিত হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন বহিরাগত মুসলিম রাজবংশ’গুলি সিন্ধু নদী পেরিয়ে ভারতবর্ষে তাঁদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে শুরু করে তখন ভারতবর্ষের প্রাচীন অধিবাসীগণ নিজেদেরকে ‘হিন্দু’ নামে পরিচিত করতে শুরু করে। আর এই কারণেই আঞ্চলিকগত ভাবে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-আচরণের মধ্যে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

সুতরাং একথা স্পষ্ট বোঝা গেলো যে, ‘হিন্দু’ ধর্ম বলে বাস্তবে কোনও ধর্মই বিশ্বের ইতিহাসে কোনদিন ছিলনা। হিন্দুধর্ম আসলে প্রাচীন আর্য্য‌‌দের ধর্মীয় কার্যকলাপের অনুকরণ হওয়াই এবং যেহেতু হিন্দু’রা আর্য্য‌‌দের ধর্মীয় গ্রন্থ ‘বেদ’কে নিজেদের ধর্ম‌গ্রন্থ হিসাবে ব্যবহার করে থাকে, সেকারণে স্বামীজী বলেছেন যে, ‘হিন্দু’র তূলনায় ‘বৈদান্তিক’ কথাটিই এক্ষেত্রে অধিক শ্রেয়।

 

বাঙালী হিন্দুঃ

বাঙালী হিন্দু বলতে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্গত বঙ্গ প্রদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে বাঙালীরা কোনকালেই সম্পূর্ণরূপে ‘হিন্দু’ ছিলনা কিন্তু।

যদিও শোনা গিয়ে থাকে বাংলার রাজা গৌড়ীয় শশাঙ্ক ধর্মে ছিলেন শৈব, কিন্তু বাস্তবে বল্লাল সেনের পূর্বে বাংলায় বৈদিক ধর্মের কোনও অস্তিত্বই ছিলনা।

একদম প্রথম দিকে ভারতবর্ষে মোট দু’টি জাতির বাস ছিল, একটি ভারতের উত্তরাংশে বসবাসকারী ‘আর্য্য‌‌’ জাতি এবং অপরটি দক্ষিণে অবস্থিত ‘দ্রাবিড়’ জাতি। এর পরবর্তীকালে এক এক করে ভারতে আরও যে’কটি জাতির উদ্ভব ঘটে, তাদেরকে আসলে ওই দুই জাতির উপগোষ্ঠী বলা চলে। ফলত, বাঙালীদেরকেও আদতে মিশ্র শ্রেণীগোষ্ঠীর অন্তর্গত বলেই মনে করা হয়ে থাকে। ধর্মীয় আচার-আচরণের দিক থেকে এরা উত্তরে বসবাসকারী আর্য্য‌‌ জাতিগোষ্ঠীর অনুকরণ করলেও পরবর্তীকালে এদের নিজস্ব কিছু ধর্মীয় আচরণের উদ্ভব হয়েছে।

ধর্মের ক্ষেত্রে বাঙালী হিন্দু’রা মূলত হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের অন্তর্গত শাক্ত এবং বৈষ্ণব পন্থা অবলম্বন করে থাকে।

 

বর্ণপ্রথাঃ

হিন্দুধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘গীতা’য় উল্লিখিত বর্ণপ্রথা অনুযায়ী কর্মের বিভেদ অনুযায়ী হিন্দুধর্ম মূলত ৪টি পৃথক বর্ণে বিভক্ত – ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র। তবে বর্তমানে এই মূল ৪টি বর্ণ বা শ্রেণী বাদ দিয়েও আরও বেশ কিছু শ্রেণীর উদ্ভব হিন্দুধর্মে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Bengali Hindu caste system

বিশেষ করে বাঙালীদের মধ্যে ‘ব্রাহ্মণ’ ছাড়া বাকি তিনটি বর্ণের উল্লেখ একেবারেই লক্ষ্য করা যায়না। আজ বাঙালীরা নিজেরাই পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারেনা যে তাদের মধ্যে কারা ক্ষত্রিয়, কারা বৈশ্য, আবার কারাই বা শুদ্র; পরিবর্তে বর্তমানে বাঙালীদের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ ‘কায়স্থ’ নামে পরিচিত। এখন প্রশ্ন হল, এই ‘কায়স্থ’ শ্রেণীর উদ্ভব কোথা থেকে?

বহু বাঙালীর মুখে এমন একটা ধারণার কথা শোনা যায় যে, পূর্বেই ‘ক্ষত্রিয়’ শ্রেণীর বাঙালীরাই বর্তমানে ‘কায়স্থ’ নামে পরিচিত হয়। ‘ব্রাহ্মণ’দের পরেই সমাজে ‘কায়স্থ’রা সম্মানিত হওয়াই অনেকে এমন কথা মনে করেন। তবে কারা এই ‘কায়স্থ’? কেনই বা তারা সমাজে সম্মানিত হয়ে থাকে?

বাঙালী কায়স্থ শ্রেণীঃ

‘কায়স্থ’রা মূলত বাঙালী হিন্দু জাতির একটি উপবর্ণ বিশেষ, একারণে সমগ্র ভারতবর্ষের মধ্যে বঙ্গ প্রদেশেই সবথেকে বেশী ‘কায়স্থ’ উপবর্ণে‌র মানুষ লক্ষ্য করা যায়।

প্রাচীন লিপি থেকে জানা যায়, আনুমানিক নয় থেকে এগারো শতকের মধ্যে বাংলাদেশের একটি বৃহৎ অংশ ‘কায়স্থ’ নামে আত্মপ্রকাশ করে, এরা ‘করণ-কায়স্থ’ নামেও পরিচিত। এরা মূলত একশ্রেণীর রাজকর্মচারী ছিল বলেই জানা যায়, যাদেরকে করণ, কায়স্থ, লেখক কিংবা হিসাবরক্ষক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলার বিভিন্ন প্রাচীন লিপিতে ‘করণ’ শব্দটি কোথাও লেখক, আবার কোথাও হিসাবরক্ষক হিসাবেও ব্যবহার করা হয়েছে; ‘বৃহদ্ধর্ম’ পুরাণে করণ ও কায়স্থ দুইই এক।

বাংলা তথা ভারতের ইতিহাস অনুযায়ী ‘চিত্রগুপ্ত’কেই কায়স্থ শ্রেণীর আদিপুরুষ বলে মনে করা হয়। কায়স্থরা ‘ক্ষত্রিয়’, ‘উত্তম সংকর শূদ্র’ এবং ‘বর্ণহিন্দু’ হিসাবেও পরিচিত।

Maharaj Chitragupta

পুরাকালে বাংলার রাজা, জমিদার’দের মধ্যে বেশিরভাগই কায়স্থ শ্রেণীভুক্ত ছিলেন। সমাজের উচ্চবংশীয় এবং বিদ্বান মানুষেরা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হওয়াই বাঙালী হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের পরই কায়স্থদেরকে সম্মান দেওয়া হয়ে থেকে।

বাংলার ইতিহাসে পাল ও সেন যুগে এবং পরবর্তীকালে ক্রমান্বয়ে মুসলিম ও ইংরেজ আমলে কায়স্থরা শিক্ষার সুবাদে উচ্চপদে আসীন হয়ে সাহিত্য, শিল্প, অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন। দত্ত, পাইন, দে, গুপ্ত, নাগ, কর, আদিত্য, নন্দী, বোস, মিত্র, ধর, রক্ষিত, দেব, ভদ্র, পালিত, ঘোষ, গুহ ইত্যাদি পদবীর বাঙালীরাই মূলত ‘কায়স্থ’ শ্রেণীর অন্তর্গত বলে জানা যায়।

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.