ভগবান শ্রী কৃ্ষ্ণের অমৃত বানী
জন্মাষ্টমির দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যেসব বানী আমাদের উদ্দিপ্ত করে তা আপনাদের সামনে বং দুনিয়ার নিবেদন-
হিন্দু ধর্মানুসারীদের আরাধ্য একজন দেবতা কৃষ্ণ। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। কৃষ্ণ তার জীবন প্রনালী দ্বারা মানুষকে ধর্মের পথে আনার জন্য রেখে গেছেন অমৃত বানী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথিকে কেন্দ্র করেই শুভ জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ১৮ জুলাই। দ্বাপর যুগের এই দিনে পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই অসুন্দর, অসুর ও দানবীয় পাশবিক শক্তিকে দমন করে মানবজাতিকে রক্ষা এবং শুভশক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল পূর্ণ অবতার রূপে।
১. জ্ঞানীর নিকট সত্য ই পরম ধর্ম।
২. দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর
বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।
৩. গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি
লাভ?যখন মোহ ত্যাগ করবে,তখন
নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে।
( ভগবান শ্রী কৃ্ষ্ণের অমৃত বানী )
৪. শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু
নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে
দেয়,তাই শোক করোনা।
৫. ব্যাবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়।
৬. মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি সর্পের চেয়েও
ভয়ঙ্কর।
৭.সত্যই এ জগতের নিয়ন্ত্রক,সত্যেই ধর্ম
প্রোথিত হয়ে আছে।
৮.মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে
পারেনা।
৯.চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে,হিমবন
বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে,সমুদ্র বিরান হয়ে
যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার
প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয়না।
( ভগবান শ্রী কৃ্ষ্ণের অমৃত বানী )
১০.শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষ ও যেমন সত্তরই
নির্জীব হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি নিরীহের
ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে
পতিত হয়।
১১.উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই
নেই,উৎসাহী ব্যাক্তি জগত ও জয় করতে
পারে।
১২.দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মত
পরম সঙ্গী আর কেউ নেই অনুকম্পা,দয়া,
ক্ষমাও মানবতার মত বড় গুন আর নেই।
১৩.হৃদয়বানের কোন ক্রোধ নেই।
( ভগবান শ্রী কৃ্ষ্ণের অমৃত বানী )
১৪.অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই
বর্ষে, প্রকৃত বীর অকারনে বাক্যব্যায়
করেনা।
( ভগবান শ্রী কৃ্ষ্ণের অমৃত বানী )
১৫.দেশে দেশে বন্ধু,আত্মীয়স্বজন বা স্ত্রী
মেলে কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই
যেখানে ভ্রাতা লক্ষন এর মত সহোদর মেলা
সম্ভব।
১৬.তপস্যাই পরম শ্রেয়,বাকী সকলই মায়া।
১৭.যদিও লঙ্কা ধন সম্পদে পরিপূর্ণ তথাপি
হে লক্ষন, এখানে আমার শান্তি লাভ
হচ্ছেনা, সব সময় মনে রাখবে, জননী ও
জন্মভুমি স্বর্গ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ।
১৮. সমুদ্র হোক বা সংসার, যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিকই পার হয়ে যায়।
( ভগবান শ্রী কৃ্ষ্ণের অমৃত বানী )
১৯. যে কেবল নিজের দুঃখকে আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু যে ব্যাক্তি সমগ্র সমাজের দুঃখ আপন করে জীবন কাটায় সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
২০. সমুদ্র হোক বা সংসার, যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিকই পার হয়ে যায়।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের লীলা তার সমস্ত জীবন নিয়ে। তিনি কখনো ভক্তের বন্ধু, কখনো সখা কৃষ্ণ, নররূপী নারায়ণ তিনি। শ্রীকৃষ্ণের দেখান পথে আমাদের চলার পথ হোক সাবলীল।