বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সোনা খোদাই একটি চশমার দাম প্রায় দু’লক্ষ ষাট হাজার পাউন্ড ! চোখ কপালে ওঠার মত ব্যাপার হলেও এটাই হয়েছে । আর চশমাটি ব্যবহার করতেন স্বয়ং গান্ধীজী । সম্প্রতি মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহার করা এই চশমা লন্ডনে এই রেকর্ড দামে নিলামে বিক্রি হয়েছে ।

গান্ধীজীর ব্যবহার করা একটি চশমা দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ইস্ট ব্রিস্টল অপশন হাউস হানামে বিক্রি করার জন্য নিলাম ডাকা হয়েছিল । ১০ হাজার পাউন্ড থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড সর্বনিম্ন দর রাখা হয়েছিল। সেই দর টপকে প্রায় ছয় অঙ্কের টাকায় কেনা হয়েছে সেই চশমা।এমন পুরাতন সামগ্রির এত অভাবনীয় দাম দেখে সত্যি বিস্মিত। নিলাম শেষে এ কথাই জানান আয়োজক অ্যান্ডি স্টোয়ি। তিনি বলেছেন, “এই চশমাগুলো শুধু রামের নিরিখে নয়, ঐতিহাসিক গুরুত্বের নিরিখেও অকল্পনীয়। যখন আমরা এটাকে নিলামে তুলি, তখনও ভাবতে পারিনি এতটা সাড়া পাবো।”

চশমার বর্তমান মালিক সাউথ গ্লুকোস্টেশায়ারের এক বৃদ্ধ অবশ্য গান্ধীজীর ব্যবহার করা সামান্য একটি চশমার দাম এত উঠবে কল্পনাতে ভাবতে পারেননি । জানা গেছে, গান্ধীজীর ব্যবহার করা চশমার চূড়ান্ত দর শুনে তো মালিকের চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।  সাউথ গ্লুকোস্টেশায়ারের সেই বৃদ্ধ, যিনি ছিলেন এই চশমার মালিক, তিনি এবং তাঁর মেয় যৌথ ভাবে এই নিলাম অংশ নিয়েছিলেন ।

কিভাবে এই চশমার মালিক সাউথ গ্লুকোস্টেশায়ারের এক বৃদ্ধ হলেন ! আর গান্ধীজীর ব্যবহার করা সোনা খোদাই করা সেই চশমাও বা কিভাবে তাঁর হাতে এল ! এই চশমার পিছনে প্রচলিত গল্প, এই চশমাগুলোর যে আসল মালিক, তাঁরা ১৯১০-১৯৩০-এর মধ্যে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মরত ছিলেন। সে সময় কোনও ভাবে তাঁরা গান্ধিজির সংস্পর্শে আসেন। সেই সময় কোন এক কারনে গান্ধীজী তাদের প্রতি খুব খুশি হয়ে তাঁর ব্যবহৃত চশমা উপহার দেন । সোনা খোদাই করা সেই চশমা গান্ধীজী এক সময় নিজে ব্যবহার করতেন । তারপর নানা হাত ঘুরে সাউথ গ্লুকোস্টেশায়ারের সেই বৃদ্ধের কাছে আসে চশমা ।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply