বাংলা হাসির কৌতুক (bangla hasir koutuk)
নোয়াখালীর এক লোক ভুলবশত অন্য এক নম্বরে ১০০ টাকা রিচার্জ করে ফেললেন। যখন তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারলেন তখন সেই নম্বরে অনেকবার ফোন করলেন। ওই নম্বরের লোকের বাড়ি বরিশাল। তিনি তো মাগনা রিচার্জ পেয়ে মহাখুশি। অপরিচিত নম্বর থেকে কল এলে তিনি তা আর ধরলেন না।
এদিকে নোয়াখালীর লোকটা ফোনের পর ফোন দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বরিশালের লোক আর ফোন রিসিভ করেন না।
এমন অবস্থায় ১০০ টাকা হারানো নোয়াখাইল্লা বরিশাইল্লাকে মেসেজ দিলেন।
‘লস্কর-ই-তৈয়বার বাংলাদেশ শাখায় আপনাকে স্বাগতম! এখন থেকে আপনি আমাদের ৪২০ নম্বর সদস্য। আপনি আমাদের রিচার্জ স্বীকার করে আজ থেকে নব্য তালেবানের সদস্য হয়ে গেছেন ! আল্লাহ আপনার শহীদী মৃত্যু কবুল করুন।’
এরপর আরেকটা মেসেজ দিলেন, ‘জনাব, সতর্ক থাকবেন– দেশের ডিবি এজেন্টরা এবং বিদেশ থেকেও আমাদের ওপর কড়া নজর রাখছে, আপনার ফোন খুব সাবধানে ব্যবহার করবেন, কোনো অচেনা নম্বরের কারো সাথে কথা বলবেন না। তবে আমার নম্বরটি সেভ করুন–অতি শীঘ্রই পরবর্তী নির্দেশনা আসতেছে। নারায়ে তাকবীর… আল্লাহু আকবার।’
এই মেসেজ পেয়ে ঘাবড়ে গেলেন বরিশালের লোকটা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নোয়াখালীর লোকটাকে ফোন করে বললেন, ‘মোরে সদস্য বানাইতে আমনেরে কইছে কেডা? মোরে বেকুব পাইছ? মুইকি তোমার ধারে টেহা চাইছি, না মোর চোইদ্দ গুষ্টিতে কেউ তোমাগোর সদস্য আছে!’
নোয়াখালীর লোকটা তখন বললেন, ‘জনাব, ইসলামে জবরদস্তি বলে কিচ্ছু নাই। আপনি যেহেতু রাজি না, তাহলে আমাদের রিচার্জের টাকাটা ফিরিয়ে দিন, সদস্যপদ অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে!’
ফোন রাখার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভুলে পাঠানো ১০০ টাকা নোয়াখাইল্লার ফোনে রিচার্জ আসলো। এবার বরিশাইল্লাকে তিনি মেসেজ দিলেন, ‘ও মনু, বেকুব কি মুই না তুমি?’