বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: রানু মন্ডল। যার গানে সোস্যাল মিডিয়া থেকে হিমেশ রেশমী সবাই ভক্ত। ভাইরাই এই রানু একসময় রেলস্টেশন, রাস্তাঘাটে গান গেয়ে বেড়াতেন। সেই রানু মন্ডল এখন রীতিমতো তারকা শিল্পী। একটি গানে হিমেশ রেশমি তাকে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রানু মন্ডলের গান ভাইরাল হওয়ার তিনি হিমেশ রেশমির স্টুডিওতে গান গেয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসেন। মুম্বাই থেকে ফিরে আসার পর প্রায় ৮ বছর পর মায়ের সাথে দেখা করতে আসেন মেয়ে স্বাতী মন্ডল। কোন কোন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য মোতাবেক ৮ বছর নয় মেয়ের সাথে মায়ের দেখা হয় ১০ বছর পর।
রানু মন্ডলের মত সেও গান গায় এবং সেই গানের ভিডিও এখন ফেস বুকে ভাইরাল। গত শনিবারের এই ভিডিওতে রানু মন্ডলের মেয়ে স্বাতী রায় গান গাইছেন। মায়ের মতো মেয়ে স্বাতীও লতা কন্ঠী। স্বাতী রায় লতা মুঙ্গেশকরের গান “এক প্যার কা নাগমা” গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছেন। রানু মন্ডলের এই জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর মেয়ের এই গান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে যে মেয়েও মায়ের মত জনপ্রিয়তা পেতে চাইছে।
দেখুন ভিডিওঃ
রানু মন্ডল নামে পরিচিত রানু দি ভারতের পশ্চিমঙ্গের কৃষ্ণনগরে ১৯৬৫ সালে কার্তিকপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা আদিত্য কুমার ছিলেন ছোট ব্যবসায়ী। ছোট থাকতেই রানু মন্ডল বাবা-মাকে হারান। অন্যের বাড়িতে বড় হওয়ায় স্কুলে যাওয়া হয়নি। ছোটবেলা থেকে রানু মন্ডলের গানের গলা ছিল সুরেলা। পরিষ্কার উচ্চারণের খাতিরে আজকে এই সফলতা পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রানু মন্ডলের সাথে তার মেয়ের দীর্ঘদিন তেমন কোন সম্পর্ক ছিল না। অনেকে মনে করেন মায়ের সুনাম ও টাকা হওয়ায় মেয়ে মায়ের কাছে ফিরে এসেছে। জানা যায় মাসিকে দিয়ে কিছু টাকা পাঠাতা ঠিকই কোন কর্তব্য করত না রানু দেবীর মেয়ে এই স্বাতী রায়।
রানু মন্ডলের মেয়ে স্বাতী রায় একটি সংবাদ মাধ্যমে জানান, “মায়ের ভবঘুরে এবং গান গেয়ে ভিক্ষবৃত্তির জীবনধারা সমর্থন না করতে পেরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন ১০ বছর আগে।“