বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের রহস্যজনক মৃ্ত্যুতে পুলিশ ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ মামলা দায়ের করেছে । বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির বাথরুমে তাকে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে । এরপর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । শর্বরী দত্তের এই মৃত্যু ঘিরে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন ! আপাতত এনআরএস থেকে তাঁর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে পুলিস ।
বৃহস্পতিবার রাতে কড়েয়া থানা এলাকার ব্রডস্ট্রিটের বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের দেহ। তাঁর ছেলে অমলীন দত্ত জানান, বুধবার রাতে তাঁদের সঙ্গে রাতের খাওয়ার সময় দেখা হয়। নিজের খাওয়া নিয়ে তিনি রুমে ঢুকেছিলেন। বৃহস্পতিবার সারাদিন তাঁর কোনও খবর না পাওযায় তাঁরা মনে করেছিলেন কোনও কাজে হয়তো বাইরে গিয়েছেন। এরপর রাতে দেখেন বাথরুমে পড়ে আছেন তিনি।
ফ্যাশান ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমেছেন কলকাতা হোমিসাইড শাখার দুঁদে কর্তারা। মৃত্যুর কিনারা করতে এখন তাদের সামনে উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রশ্ন । যেগুলির উত্তর পাওয়া গেলে অনেকটাই সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে তদন্ত । প্রথমত, বাড়ির লোকের বয়ান অনুযায়ী, শর্বরী দত্ত হরমোনাল ওষুধের ওভার ডোজে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিস যখন যায়, তখন মৃতদেহ বেডরুমে বিছানায় শোয়ানো ছিল। বাড়ির লোক হঠাৎ মৃতদেহ সরাতে কেন গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দ্বিতীয়ত, শর্বরী দত্তের ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান এসে দেহ পরীক্ষা করে ডেথ সার্টিফিকেট দেন। বাড়ির লোকের বক্তব্য, তাঁরই পরামর্শে দেহ বাথরুম থেকে বেডরুমে শিফট করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশ কেস। তাও একজন পেশাদার ডাক্তার বাড়ির লোককে দেহ শিফট করার পরামর্শ দিলেন কেন?
তৃতীয়ত, শর্বরী দত্ত জ্ঞান হারিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে যান বা পড়ে ছিলেন বলে বাড়ির লোক পুলিসকে জানিয়েছেন। এইভাবে কেউ পড়লে তাঁর মাথার পিছনে আঘাত লাগে। প্রাথমিকভাবে মাথার পিছন দিকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ইন্টারনাল আঘাত আছে কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।
চতুর্থত আরও একটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের । শর্বরী দত্তের বা পায়ের গোড়ালির নিচে একটি টাটকা কাটা দাগ দেখতে পাওয়া গেছে। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে কোনওভাবেই এই দাগের সম্পর্ক নেই। দাগ এলো কোথা থেকে? এটা কি কোনও অস্ত্রের দাগ নাকি অন্য কিছু ? আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে আছে সবাই ।