বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বিয়ে দু’জন নারী পুরুষের মধ্যকার একটি পবিত্র বন্ধন । এই বন্ধনের মাধ্যমে একদিকে যেমন দুটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়, অপর দিকে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌ’ন স’ম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে । যার মাধ্যমে বীজ বপিত হয় আগামী দিনের । কিন্তু ঠিক কখন বিয়ে করা উচিৎ তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিজ্ঞান জানাচ্ছে অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনে সুস্থ থাকা যায় । কেন বিজ্ঞান এ কথা বলছে, আসুন একবার জেনে নিই ।
বিজ্ঞান বলছে বিয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন দুটি পরিবারের মধ্যে মিল হয়, তেমনি এর ফলে দুটি মানুষের মনের আদান প্রদান হয়। দু’জন পুরুষ ও নারী তাদের চিন্তা চেতনাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করতে পারে।যার ফলে একাকিত্ব মনোভাব, হতাশা, ক্লান্তি সবই দূর করা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে বিয়ে করা জরুরি। বিজ্ঞান বলছে বিয়ে এবং সুস্থতা একে অপরের পরিপূরক । কারন, বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রী’’র মধ্যে নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্ক স্থাপিত হয় । যার ফলে দম্পতির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের ফলে নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ থাকে । কারন, স্বাভাবিক যৌ’নজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে। বিশেষ করে ‘অর্গাজমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে। কারণ প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। শুরু তাই নয়, দেখা গেছে, নিয়মিত শা’রী’রিক স’ম্পর্ক স্থাপিত হলে র’ক্তচাপ কমে বলে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। গবেষণা বলছে, শারীরিক স’ম্পর্ক র’ক্তচাপ কমায়।
এছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করার সময় ব্যায়াম হয় । বিজ্ঞান বলছে, নিয়মিত শারীরিক স’ম্পর্কে প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালোরি খরচ হয় । গবেষকরা জানিয়েছেন, শারীরিক মিলনে দু’ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক, হৃদকম্পনে গতি আনে, দুই. একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশীকে সক্রিয় করে। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের জন্য নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক খুবই উপকারি । এর ফলে হার্ট বিট রেট ভাল থাকে । ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁ’কি কমে যায় ।
এছাড়াও দেখা গেছে, শারীরিক সম্পর্কের ফলে মানব শরীরের ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরন’ নামক হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকরা জানান, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শারীরিক স’ম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃ’ত্যুর আশ’ঙ্কা কম।এছাড়া শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন এবং মাংস পেশির ব্যায়ামের ফলে ব্যথা কমায় । অনেক ম্যাসাজ বা ঔষধের থেকেও, ব্যথা কমাতে ‘অর্গাজম’ বেশি কার্যকর। অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক জানান, অর্গাজম ব্যথা বন্ধ করতে পারে। কারণ এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
এছাড়া শারীরিক সম্পর্কের ফলে অর্গাজম হয় । এর ফলে শা’রীরিক স’ম্পর্কের পর দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। কারণ অর্গাজমের সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহকে শিথিল করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে।পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক শরীরের মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে। এবার কম বয়সে বিয়ে করলে দেখা যাচ্ছে, শারীরিক সম্পর্ক বেশী হয় । গবেষকরা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অ’ত্যন্ত জরুরি । তাই আর দেরী কেন, যারা বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন, তারা বয়স থাকতে থাকতেই সেরে ফেলুন ।