অন্যান্য বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের মতো মানুষও কি বিলুপ্তির পথে? এই প্রশ্নের মুখে এখন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন যে ক্রমাগত জলবায়ুর যে পরিবর্তন, পরমাণু যুদ্ধের যে আশঙ্কা এবং মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা গ্রহাণুর পতনের যে আশঙ্কা রয়েছে সেগুলি ঘটলে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে মানব জাতি।(Human Existence Timeline)
ক্রিটেসিয়াস যুগের অধিযুগে ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটে। যার কারণ হিসেবে মহাকাশ থেকে ছুটে আসা এক গ্রহাণুকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ছুটে আসা গ্রহাণুর বিপদের থেকেও মনুষ্যসৃষ্ট কারণ কে বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন তারা। যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে তাতে হতে পারে অক্সিজেনের ঘাটতি। অত্যাধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডারে টান পড়ছে এবং এর পাশাপাশি জলবায়ুগত পরিবর্তনও ঘটেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার না কমলে জলবায়ুর তারতম্য দিন দিন বেড়েই চলবে।
চলতি শতকের মাঝামাঝি সময় নদী, পুকুর, খাল, বিল ও সমুদ্রে মাছের পরিমাণ কমে যাবে এবং অনেক প্রজাতির কীট-পতঙ্গ ও বিলুপ্ত হবে। যে সমস্ত পাখি মাছ খেয়ে তাদের জীবনধারণ করে খাদ্যের অভাবে একসময় সেই পাখি প্রজাতিগুলিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কীট-পতঙ্গ ভক্ষণকারী জীবও বিলুপ্ত হবে। অর্থাৎ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে বলা যেতে পারে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে যে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল তার ফলে একধরনের মহামারীর কবলে পরে গোটা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ। কিছু কিছু স্থানে তার বিকিরণের প্রভাব এত বেশী ছিল যে কয়েক দশক পর্যন্ত সেসব জায়গায় কোনও সুস্থ শিশুর জন্ম হয়নি। এর থেকে ধারনা করা যেতেই পারে যে, নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন পরমানু নিক্ষেপের ফলে মানবজাতির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা হতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, উপরিউক্ত আলচনা মানবজাতি যে কতটা বিপদের মুখে আছে সে সম্পর্কে আমাদের অবগত করে। সুতরাং আমাদের কে সেসমস্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে যা মানবজাতি কে ক্রমাগত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।(Human Existence Timeline)