অযোধ্যার মন্দির বা মসজিদ যাই হোক না কেন তাই নিয়ে কম জল ঘোলা করা হয়নি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনি লড়াইয়ের মধ্যে আবার কিছু তথ্য নতুন ভাবে আবিষ্কৃত হল যাতে ফের একবার প্রমাণিত হলো ওখানে হিন্দু মন্দির ছিল। ইংরেজ আমল থেকেই অনেকবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ওই জায়গায় হিন্দুদের পূজা করার অধিকার আছে। কারণ ওখানে হিন্দু মন্দির ছিল। কিন্তু বারবার কোন না কোন কারনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।(Amazing Mystery Of Babri Masjid, Famous Mosque In India)

মামলা পর্যন্ত গড়ায় কিন্তু এখন যা প্রমাণ পাওয়া গেছে সেটা তে অনেকটাই পরিষ্কার ওখানে আগে হিন্দু মন্দির ছিল। অযোধ্যা তে এর আগে দুইবার খনন করা হয়। দুই বারই একটাই উদ্দেশ্য ছিল মসজিদের নিচে মন্দির ছিল কিনা বা মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানো হয়েছিল কিনা? ১৯৭৭ সালে প্রথমবার খনন করা হয় আর দ্বিতীয়বার ২০০৩ সালে।

 

যখন প্রথমবার খোদাই করা হয়েছিল তখন ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ ছিলো আর দ্বিতীয়বারের সময় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর আগে খনন কাজ করার সময় এ এস আই এর মুখ্য অফিসার ছিলেন বিবি লাল। এ এস আই একটা দুটো নয় পুরো ১৪টা স্তম্ভ পেয়েছিল। এর গঠন দেখে বোঝা যাচ্ছিল সবকটি স্তম্ভ মন্দিরের। স্তম্ভগুলি ছিল কালো রং এবং এর উপর হিন্দু পূজার চিহ্ন ছিল। ওই পাথরের স্তম্ভ-এ হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা ছিল। স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে মসজিদের পিলারে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি কিভাবে এলো?

১৯৭৭ সালে মসজিদের বাইরে স্তম্ভের ভিত পাওয়া যায়। যেগুলি মন্ডপ বানানোর কাজে লাগে। সেই সময় বাবরি মসজিদ ছিলো তাই এটা দেখা সম্ভব ছিল না, এগুলি ভেতরে কতদূর পর্যন্ত ছিল? ২০০৩ সালে হাইকোর্টের আদেশে আবার খনন কাজ শুরু হয়। সেবার খনন কাজের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ এস আই এর অফিসার বি আর মনি।(Amazing Mystery Of Babri Masjid, Famous Mosque In India)

 

১৯৯২ সালে মসজিদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে সেবার খনন সেই জায়গাতেই হয় যেখানে বাবরি মসজিদ ছিলো। খনন কাজ শুরু হতেই সবার আগে পিলার বেস পাওয়া যায়। ১৯৭৭ সালে দশটি বেস পাওয়া গেছিল আর ২০০৩ সালে ৮৫টি বেস পাওয়া যায়। তার মানে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে মন্দিরের স্তম্ভ ব্যবহার করা হয়েছিল মসজিদে এবং মণ্ডপের স্তম্ভ ভেঙ্গে সমান করে ওই জায়গায় মাটিতে সমতল করা হয়েছিল।

Mr. Snehasish Sarkar is one of the Co-Founder and analyst at BongDunia. He has completed his Graduation From West Bengal State University on English Literature. He was a blogger at his first life. He has worked with many news agencies all over the World.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.