বিজ্ঞান এগোচ্ছে, জানুন কি এই গবেষণা।

একটা কথা কোনও পরিসংখ্যান ছাড়াই বলা যায়, পৃথিবীতে যত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তার অধিকাংশ’ই মশাবাহিত কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে। হাস্যকর হলেও এটাই সত্যি। পৃথিবীজয়ী বীর আলেকজান্ডার সকলের কাছে অজেয় থাকলেও তার পরাজয় হয়েছিলো মশার হাতে। হ্যাঁ, সত্যিই আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয়েছিলো মশাবাহিত রোগ ‘ম্যালেরিয়ায়’। তাই নিঃসন্দেহে বলা চলে গোটা জীব জগতের কাছে মশা একটা আতঙ্কের নাম।

 

বিজ্ঞানীদের মুখের কথা নিয়ে বলা যায়, এই পর্যন্ত পৃথিবীতে যত মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন তার অর্ধেক মারা গেছেন মশার কামড়ে। অনেকের ধারনা এটা আরও বেশী হতে পারে।

সুতরাং, মশার হাত থেকে ছাড়া পাওয়া অতটা সহজ নয়। মশার আক্রমন প্রতিহত করার জন্য যতধরনের ঔষধ আবিস্কার হয়েছে, মশাকূল সেগুলির বিরুদ্ধে কিভাবে লড়তে হবে তা অভিযোজনের মাধ্যমে বের করে নিজ জাতিকে আরও পরিণত এবং অধিক শক্তিশালী করে তুলছে, তাই নতুন নতুন ঔষধও মশাকে দমন করতে পারছেনা।

 

বর্তমানে মশার আক্রমন ঠেকাতে বিজ্ঞানীরা এক নতুন পন্থার আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা মশা দমনে এমন কিছু মশা সনাক্ত করতে পেরেছেন যে মশাগুলির যৌন আবেদন একেবারে এক নম্বরে। এই যৌন আবেদন যুক্ত মশার দর্শন পেলে অনায়াসে কাছে ঘেঁষবে স্ত্রী মশা এবং প্রথম দর্শনেই যৌনতায় লিপ্ত হবে। তবে নতুন যে মশাগুলির জন্ম হবে, সেগুলি ‘বাঁজা’ হবে অর্থাৎ সেগুলি ইতিমধ্যেই নির্বীজকরন করায় পরবর্তীকালে সঙ্গমে লিপ্ত হলেও কাজের কাজ কিছুই হবেনা। স্ত্রী মশা সেই সঙ্গম থেকে ডিম পাড়বেনা।

 

বাস্তবে যদি বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে মানবজাতি ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া’র মতো একাধিক মশাবাহিত রোগ থেকে অনেকটা রেহাই পাবে। পাশাপাশি প্রতিবছর মৃত্যুর হার অনেকটা কমে যাবে।

 

এতকিছুর পরেও একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এই পন্থা অন্য কীটের ওপর প্রয়োগ করে হাতে নাতে ফল মিললেও যৌন আবেদনে ভরপুর মশার জোগানে বড়ই কম।

Payel Kumar is a News Writer at BongDunia. She has a little knowledge about journalism. She has worked with various news agencies in the previous years. She has done her graduation from West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.