বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারি আকারে ছেয়ে গেছে । সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যে করোনা ভ্যাক্সিন কবে পৌঁছাবে নিশ্চিতভাবে কোন দেশ জানাতে পারছে না । এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রতি নিয়ত চলছে গবেষণা । এরই মধ্যে গবেষকরা সমীক্ষা করে জানিয়েছে এক অদ্ভুত রিপোর্ট ! যে কোনও বয়সের মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি একটু বেশি মাত্রায় রয়েছে। গবেষকরা অবশ্য এর পিছনে কিছু যুক্তি দিয়েছেন ।
পুরুষ না মহিলা ! কারা বেশী নিরাপদ করোনা সংক্রমণ থেকে ? এই প্রশ্নের উত্তরে গবেষকরা দাবী করেছেন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েক ফরেস্ট ব্যাপটিস্ট মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা দাবি করেছেন মহিলাদের করোনাভাইরাসের তীব্রতা কমাতে অ্যাঞ্জিওটেনসিন-রূপান্তরকারী এনজাইম ২ নামক এই হরমোনের ভূমিকা রয়েছে । এটি একটি যৌন হরমোন, এস্ট্রোজেনের ভূমিকা পালন করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েক ফরেস্ট ব্যাপটিস্ট মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে এস্ট্রোজেন সম্পর্কিত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মানুষের হার্ট বা হৃদযন্ত্রকে প্রভাবিত করে। আর মহিলাদের শরীরে থাকা এস্ট্রোটেন হরমোন কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। কারন এটি মহিলাদের শরীরের কোষে উচ্চ মাত্রায় এনজাইম ২ সৃষ্টি করে । এটি মহিলাদের কাছে একটি বর্মের মত। তাই প্রথমিক পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা দাবি করেছেন হরমোনজনিত পার্থক্যের কারণে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত মহিলারা পুরুষদের তুলনায় নিরাপদে থাকতে পারছেন।
গবেষকদের মতে মহিলাদের শরীরে থাকা এস্ট্রোটেন হরমোনই করোনা সংক্রমণে পুরুষ না মহিলা ? কাদের ঝুঁকি বেশী তা জানিয়ে দিচ্ছে । বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ি ভাইরাসটির সেলুলার রিসেপটর জীবাণুগুলি কোষে আনতে সাহায্য করে মানুষের হৃত্পৃণ্ড, ধমনি, কিডনি আর অন্ত্রের কোষ। বিজ্ঞানীরা হৃদযন্ত্রে এস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস করার দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। যা মহিলাদের সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। মহিলাদের কোষে উচ্চ মাত্রায় এনজাইম ২ থাকায় তাঁরা করোনা প্রতিহত করতে সক্ষম হন। কিন্তু পুরুষরা তা পারে না।