বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপ্সা গরম কিছুতেই কাটতে চাইছে না । এদিকে অফিস বন্ধ । বাড়িতে বসে এসি চালিয়ে টিভি দেখছেন, কিম্বা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালিয়ে যাচ্ছেন । কিন্তু জানেন কি, করোনার আবহে বদ্ধ ঘরে এই এসির শীতল হাওয়া আপনার জন্য নিরাপদ কিনা ?
এই মুহূর্তে উত্তরটা হল, না । বদ্ধ ঘরে আপনার এসির হাওয়া আপনার জন্য নতুন বিপদ বয়ে নিয়ে আসতে পারে । কারন, মাত্র কিছুদিন হল, বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কার্যত মেনে নিতে বাধ্য হয় যে, করোনার ভাইরাস বাতাসেও উপস্থিত থাকতে পারে। এবারে কিছু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি কোনও এলাকায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা থাকে, তবে তাঁরা যেন বাড়ির এসি বন্ধ করে দেন। কারন বাইরের হাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব মানার পরেও সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ঠিক কি জানাচ্ছেন একবার জেনে নেওয়া যাক । যুক্তরাজ্যের রয়্যাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ড. শন ফিটজগারেল্ড বলেছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এসি চালু রাখার সময় জানলা খোলা রাখা একটা ভালো পদ্ধতি হতে পারে। লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউশন অফ বিল্ডিং সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার্স জানাচ্ছে, বাইরের বাতাস ব্যবহার করে না এমন এসিও ঘরের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই যে সব রেস্তরাঁয় এসি আছে, সেসব জায়গায় এখন যাওয়া মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ।
এপ্রিলে গবেষকরা বলেছিলেন, চিনের গুয়ানজহোরে একটি রেস্তোঁরায় খাবার খেতে গিয়েছিল কমপক্ষে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এর জন্য ওই রেস্তরাঁর এসির হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।সম্প্রতি, ব্রিটিশ টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এয়ার কন্ডিশনার দুটি ধরণের রয়েছে।। এর একটি হল যেটি বাইরের বাতাসকে টেনে আনে ও অপরটি ঘরের বাতাসকেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঠান্ডা করে।যেটি ঘরের বাতাসকেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঠান্ডা করে, সেই ধরনের এসির ঝুঁকি কম । কিন্তু যে এসি বাইরের বাতাস ঘরে টেনে নিয়ে আসে ? সেক্ষেত্রে ঝুঁকির প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে । এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে সকলে যেন এসি বন্ধ করে দেন বা জানলা খুলে দেন।