মতুয়া সংঘের সর্ব প্রধান বড়মার প্রয়ানের পরেও নাটক অব্যাহত । হসপিটালে বড় মা মারা যাওয়ার পরে পারিবারিক কোন্দল কোট পর্যন্ত গড়ায় । এমনকি বড়মার শেষকৃত্য নিয়ে নাটকের শেষ ছিল না ।
গত 11 ই ফেব্রুয়ারি সই জাল করার অভিযোগ জানিয়ে মমতা বালা ঠাকুর একই পরিবারের মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুর এর বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । মূল ঘটনা ছিল মৃত্যুর কয়েক দিন আগে বড়মা বীণাপাণি দেবী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কে অনুরোধ জানিয়ে একটা চিঠি দেন । চিঠিতে তিনি নাগরিকত্ব বিল পাস করানোর অনুরোধ জানান । এটা নিয়েই মূলত জল ঘোলা হয় । চিঠিতে বলা হয় মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া এবং তাদের উপকারের কথা ভেবেই তিনি এই প্রস্তাবটা মুখ্যমন্ত্রী কাছে দিয়েছেন । কিন্তু পরবর্তীকালে মমতা বালা ঠাকুর মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও শান্তনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে । তাঁর অভিযোগ ছিল ওই চিঠিতে বড়মার যে স্বাক্ষর করা সেটা নাকি বড়মার স্বাক্ষরই নয়, সেটা জাল।
এদিকে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং শান্তনু হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন । সংবাদ সূত্রে খবর, তাদের আইনজীবী সৌরভ মিত্র বলেছেন রাজনৈতিক কারণেই তার মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে । এটি আসলে রাজনৈতিক চক্রান্ত । এদিকে সরকারি আইনজীবী রুদ্র দীপ্ত নন্দী অভিযুক্তকারীদের বিরোধিতা করেন । যাই হোক, দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এক সপ্তাহের মতো মামলাটা মুলতবি রাখার ঘোষণা করে । কিন্তু পাশাপাশি মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও শান্তনুকে গাইঘাটা থানার ওসির কাছে সপ্তাহে একদিন করে হাজিরা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে ।