লক্ষ লক্ষ ভক্ত’কে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবী মঙ্গলবার রাত ৮ টা ৫২ মিনিটে এস এস কে এম হাসপাতালে অনন্তের পথে পাড়ি দেন।
বর্তমানে পরিবারের একমাত্র জীবিত সন্তান মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। নিয়ম অনুসারে তিনিই মুখাগ্নি করবেন। বড়মা জীবিতকালীন ঠাকুর পরিবারের পারিবারিক কলহ থেকে তিনি রেহাই পাননি। অন্তিম যাত্রার পরেও তার পিছু ছাড়ছে না এই কলহ।
এই বাংলা ছাড়াও সারা ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও অসংখ্য মতুয়া ভক্ত আছে। বড়মা-র মৃত্যুর খবরে যে যেখান থেকে পেরেছে ছুটে এসেছে তাঁকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে।
আজ ঠাকুরনগরে বড়মা‘র অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া করার কথা। কিন্তু বড়মা‘র অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া আজ হবে না কাল এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে গত দু’দিন ধরেই। চলছে দফায় দফায় আলোচনা। এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অসংখ্য ভক্ত অপেক্ষা করে আছে এই পারিবারিক সিদ্ধান্তের ওপরে। তারা অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে কখন বড়মা‘র অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছেন যে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দিয়ে বিদায় জানানো হবে বড়মা‘কে। মাঝখান থেকে পারিবারিক টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে আকুলি-বিকুলি করছে সাধারণ জনগণ এবং অগণিত ভক্ত।