বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ নৈহাটি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে পুলিশ বাজি কারখানার মালিক নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে । প্রাথমিক তদন্ত করার পর পুলিশের ধারনা, এখানে বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি করা হত । বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে পুলিশের অনুমান নৈহাটির কারখানায় বাজি তৈরি ছাড়াও বোমা তৈরির জন্য অতি শক্তিশালী বিস্ফোরক মজুত ছিল ।
নৈহাটির বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৪ জন মানুষ । এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৮ জন । শুক্রবার সকালে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, তার তীব্রতা এতটাই বেশী ছিল যে, কেঁপে উঠেছিল গঙ্গার ওপারের হুগলিও। চুঁচুড়ার আখনবাজার, প্রেমনগর এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন তাঁরাও কম্পন টের পেয়েছেন। সাধারন বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হলে এত বেশী তীব্র প্রতিক্রিয়া হত বলেই অনুমান করা হচ্ছে ।
শনিবার ভোর রাতে আমডাঙ্গা থেকে বাজি কারখানার মালিক নূর হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । উল্লেখ্য গত একবছর আগেই এই একই কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল । সেবার বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল ৫ জন মানুষ । কিন্তু তার পরেও উক্ত কারখানা কি ভাবে সকলের নাকের ডগায় বিনা অনুমতিতে এত দিন ধরে চলে আসছে সে বিষয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
লোকসভা সাংসদ অর্জুন সিংহ নৈহাটির বিস্ফোরণের জন্য সরকার পক্ষকেই দায়ী করেছেন । এই ঘটনার জের হিসাবে তিনি জানান বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানানো হবে । অতীতে ঘটে যাওয়া ‘খাগড়াগড় বিস্ফোরণ’-এর কথা বলে তিনি জানান, এর মধ্যেও খাগড়াগড়ের মত কোন ঘটনা লুকিয়ে আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে ।