ঋতুর পালা বদলের খেলায় সাধারণত সর্দি-কাশি, খুসখুস জ্বর হয়েই থাকে, এটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু সম্প্রতি শহরে দেখা দিচ্ছে অ্যাডেনো ভাইরাস এর প্রকোপ। সাধারণভাবে সর্দি-কাশি’র জন্য দায়ী করা হয় এই ভাইরাসকে। এই ভাইরাসের প্রভাব মূলত শিশু’দের ওপরই বেশী পড়ে। এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে শিশুদের চোখ, শ্বাসযন্ত্র, অন্ত্র, মূত্রনালীর মত অঙ্গে সংক্রমণ হতে দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মূত্রের সাথে রক্ত বের হতেও দেখা যায়।
রাতে ভালো করে ঘুমানোর পর সকালে হয়তো কোনও শিশুর একটি চোখ হঠাৎ টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। বাবা-মা ভাবলেন, হয়তো ঠাণ্ডা লাগার কারনে এই অবস্থা দেখা দিয়েছে। কিন্তু দিন পার না হতেই শিশুর হাতে, পায়ে র্যাশ সহ প্রবল জ্বর দেখা দিলো। হাসপাতালে ভর্তি করার পর জানা গেলো, ‘অ্যাডেনো ভাইরাস’-এ আক্রান্ত হয়েছে ছোট্ট শিশু।
সাধারণভাবে এই ভাইরাস আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলায় সংক্রমণ, হাতে-পায়ে র্যাশ এই সকল লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারী শিশু হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সুমন পোদ্দার এর কথায়, প্রতি বছর এই উপসর্গ ভালো দেখা দিলেও এই বছর এটি প্রায় মহামারীর মতো ছড়িয়েছে। শিশু’রা আক্রান্ত হলে তাদের সংস্পর্শে এসে বড়োরাও কাবু হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞ’দের মতে, খুব ঠাণ্ডা বা গরমে এই ভাইরাস বেশী সক্রিয় থাকেনা। কিন্তু না ঠাণ্ডা, না গরম আবহাওয়াই এই ভাইরাস এতো বেশী সক্রিয় এই বছর।
সতর্কতা হিসেবে, আপনার বাড়ির শিশুর চোখ লাল বা জ্বর হতে দেখলেই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বাইরে বের হলে শিশুকে মাস্ক পড়ান, যাতে ধূলো-বালি সংস্পর্শে না আসতে পারে। ময়লা কাপড় বা গামছা দিয়ে শিশুর চোখ, নাক, মুখ মুছবেন না।
সময়মতো সাবধান হতে পারলে এই ভাইরাসের কবলে পড়ার সম্ভবনা বেশী থাকেনা।