আমরা ইস্টবেঙ্গল – ইস্টবেঙ্গল সেনানী। আমাদের অশান্ত বুকের দাবানল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে তৈরি হয় আগুন পাখি। আমাদের ভিতরের আগুন পাখিগুলি ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে যায় বিপক্ষ শিবিরে ধারাল তিরের ফলকের গতি নিয়ে। আমাদের প্রতিটা রক্ত কণা কানাকানি করে ইস্টবেঙ্গল ইস্টবেঙ্গল বলে । এগারো সেনাপতিকে সামনে রেখে আমরা স্বপন দেখি। রণ হুঙ্কারে কেঁপে ওঠে গ্যালারি, মাঠ থেকে তৈরি হয় সাগরের গর্জন। আমরা জ্বরে কাঁপি, শরীরের অদম্য কাঁপন থামায় ‘গোল’।
স্বপ্নে বাঁচি আমরা, বারংবার আমাদের সেনাধিনায়কদের রথ থমকে দাঁড়ায় জয়ের দোর গোঁড়ায় এসে। প্রতীক্ষায় আছি কবে দুয়ার ভেঙ্গে ঢুকব আর বিজয় কেতন ওড়াব ? এবারের সমরে সকলে থাকছি আমরা হাতে হাতে মানব শেকল তৈরি করে মাঠে এগারো সেনাপতির শক্তি বাড়াবার জন্য।
এবার এক ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ছবি আঁকলেন ‘এনরিকের’-
ছবিটি এঁকেছেন ‘তীর্থঙ্কার দে’, আর এদের-কেই তো বলে প্রকৃত সমর্থক। এরাই তো ফুটবল এর আসল আবেগ কে ফুটিয়ে তোলে – কেউ ছবি আঁকে অথবা কেউ গান করে, এরাই তো দলে দলে মাঠ ভরায়। এভাবেই বেচে থাকুক বাঙ্গালীর ফুটবল আবেগ এমন কিছু তীর্থঙ্কার-এর মাধ্যমে।