সোশ্যাল দুনিয়া কিম্বা সংবাদ মাধ্যমে জাকির নায়েক একজন অতি পরিচিত নাম । কিন্তু সুবক্তা হলেও তার কিছু তাকে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে । শোনা যায় 2016 সালে ঢাকার গুলশানে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিল, সেখানে কিছু জঙ্গি জাকির নায়েকের প্রচারে প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ।
উল্লেখ্য ওই বছরই নভেম্বর মাসে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এন আই এ এবং জাকির নায়েকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেয় ভারত । এর পরেই জাকির নায়েক ভারত ত্যাগ করে এবং মালয়েশিয়ায় পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করে । জাকির নায়েক মালয়েশিয়া তে পাকাপাকিভাবে বসবাস করার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী কাজে মদত দেওয়ার মত উস্কানি মূলক ভাষণ এবং টেলিভিশনে তার বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ঘটানোর চেষ্টা করে আসছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছে বারবার ভারত । কিন্তু মালয়শিয়া সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি এতদিন ।
370 ধারা বিলুপ্তকরণ করায় জাকির নায়েক মালয়েশিয়া থেকে উসকানিমূলক যে বক্তব্য গুলি রাখছেন, সেটি ভবিষ্যতে বড়োসড়ো গন্ডগোলের সৃষ্টি হতে পারে এরকমটাই মনে করছে মালয়েশিয়া সরকার । যার কারণে জাকির নায়েককে সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা কোন জনসমাবেশে কোন প্রকার বক্তব্য রাখতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা হল মালেশিয়া থেকে ।
মালয়েশিয়ার পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩রা অগস্ট একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জ়াকির নায়েক বলেন, ‘‘মালয়েশিয়ার হিন্দুরা ভারতের মুসলিমদের থেকে ১০০ গুণ বেশি প্রভাবশালী।’’ এমনকি মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী চিনের অধিবাসীদের নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দেশের প্রধানমন্ত্রী মোহাথির মহম্মদ প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, জ়াকিরের মন্তব্য মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে জাতি বিদ্বেষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাঁর কথায় ‘রাজনৈতিক’ ও ‘ধর্মীয়’ বৈষম্যের গন্ধ রয়েছে। তাই দেশের জাতীয় ও কূটনৈতিক স্বার্থেই জ়াকির নায়েককে মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে।