লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিধান নগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত খবরের শিরনামে । বিরোধী নেতা মুকুল রায়কে লুচি আলুর দম খাওয়ানোর পর থেকেই বিতর্কের সুত্রপাত । তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানারজির ব্লাক বুকে নাম তুলেছিলেন তখনই । দুদিন আগে বিদ্যুৎ ভবনে মিছিল সংগঠন করে সরকার বিরোধী খাতায় নাম তুলেছেন । তারপর তৃণমূল ভবনে সব্যসাচী দত্ত ছাড়া বাকী কাউন্সিলারদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম । সেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন দল কোন ভাবেই সব্যসাচী দত্ত -এর এই আচরণ বরদাস্ত করবে না ।
তবে সব্যসাচী দত্ত কে অপসারিত না করা হলেও যেটুকু হয়েছে সেটা সাসপেন্ড হবার থেকে কম কিছু নয় । অবশেষে ডেপুটি মেয়র তাপস চটপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য ।
তাপস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, “পুর মন্ত্রী আমাকে সকালেই বলেছিলেন, সব্যসাচী দত্ত ইস্তফা দিলে ভাল, না হলে অনাস্থা আনার প্রক্রিয়া শুরু ক্রুন” । অপর দিকে সব্যসাচী দত্ত ইস্তফা দেবার কথা অস্বীকার করেছেন । তিনি জানিয়েছেন, “অনাস্থা ভোটে গেলে বোঝা যাবে, ক’জন আমার সঙ্গে আছেন । ছ’মাস পর নির্বাচন । দেখুন না কি হয় ?”
এদিকে পুর মন্ত্রি ফিরহাদ হাকিম সংবাদ মাধ্যমের মুখমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ” দল কোন বি শৃংখলা বরদাস্ত করবে না । ওঁকে অনেকবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে । আমি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে দলের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তএর সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছি । কিন্তু রবিবার সব্যসাচী যা করেছে, দলের পক্ষে তা সস্তি দায়ক নয় । দলে থেকে এসব সহ্য করা যায় না ।”