চিকিৎসা শুরুর অন্যতম পদক্ষেপ টেস্ট বা পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা যদি না করেই রিপোর্ট দেওয়া হয় তাহলে চিকিৎসা হবে কি করে? গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, বেশি দামে ওষুধ বিক্রিসহ নানা অভিযোগে তিনটি হাসপাতালকে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা করে।
উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে ১৭ লাখ, লুবনা হাসপাতালকে ২০ লাখ ও উত্তরার আরএমসি হাসপাতালকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘এই হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘ক্রিসেন্ট হাসপাতাল কোনও ধরনের পরীক্ষা না করেই মাইক্রোবায়োলজিক্যাল বা কালচারের রিপোর্ট দিতো। ল্যাবে ব্যবহার করতো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট। এছাড়া ভারতীয় সরকারি সার্জিক্যাল সামগ্রী ও অনুমোদহীন ওষুধ বিক্রি করতো। তাদের জরিমানা করা হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। লুবনা হাসপাতাল ঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট দিতো। মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী ব্যবহার, একজন প্যাথলজিস্টের স্বাক্ষর জাল করে প্যাথলজি রিপোর্ট তৈরি, অনুমোদন ছাড়া রক্ত সঞ্চালন, রক্ত সঞ্চালনের আগে এইডস ও হেপাটাইটিস পরীক্ষা না করা, ৩৪.৫০ টাকার প্যাথেড্রিন ৩৫০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ২০ হাজা*র টাকা জরিমানা করা হয়। আরএমসি হাসপাতালে অনুমোদন ছাড়া রক্ত পরিসঞ্চালনা, এইডস এবং ম্যালেরিয়ার টেস্ট না করে রক্ত পরিসঞ্চালন, অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী ব্যবহার, নিজেরা টেস্ট না করে বাইরে থেকে টেস্ট করিয়ে এনে রোগীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফির বেশি টাকা আদায়, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ না রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের জরিমানা করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা।’
সমস্ত দেশে যখন ডেঙ্গু নিয়ে মহামারী তখন এসব চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের মনুষত্বকে প্রশ্নের মুখে তোলে।