২০১৪ সালে একক সরকার গঠনের ক্ষমতায় জয়লাভ করেছিল বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি)। বিগত পাঁচ বছর দেশ চালানোর পরও রয়ে গেছে কৃষি সংকট, বেকারত্ব এবং নিম্নজাতির মুসলিম নিপীড়ন। কিন্তু এর পরেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আবারও জয়ী হলেন মোদী। তাও এবার একক সরকার গঠন করবার ক্ষমতা অর্জন করে।
এতকিছুর পরও মোদীর ওপর থেকে বিশ্বাস হারায়নি সাধারণ মানুষ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সাধারণ মানুষ আবারও তাকে দিল্লীর সিংহাসনে বসালেন। মোদীর এই বিপুল জয়লাভকে জনতোষণ নীতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
প্রথম পাঁচ বছরে ভারত মোদী সরকারের আওতায় এলেও ভারতের অর্থনীতির গতি মন্থর থেকে গেছে। এরপরেও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ মনে করেছেন যে আরও পাঁচ বছর সুযোগ দেওয়া উচিৎ নরেন্দ্র মোদীকে। এবছরের গোঁড়ার দিকে মনে হয়েছিল, এবারের লোকসভা ভোটে মোদী সরকার হয়ত আর উঠে দাঁড়াতে পারবেনা। কিন্তু কাশ্মীরের পুলওয়ামা কাণ্ডের পর যেভাবে পাকিস্থানের আক্রমনের মোক্ষ জবাব মোদী দিয়েছেন তাতেই ঘুরে গেছে মানুষের মন।
তবে এই মুহূর্তে ভারতকে নিয়ে মোদীর লক্ষ্য রয়েছে তিনটি বিষয়ের ওপর। এক, ভারতকে শক্তিশালী হতে হবে। দুই, ভারতকে হিন্দুত্ববাদী হতে হবে। তিন, ধনী হতে হবে। এই তিনটি লক্ষ্যে একসাথে পৌঁছতে পারলে তবেই গঠিত হবে সর্বগুণসম্পন্ন ভারত।