বাংলায় একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘কিছু জানতে হলে শিখতে হয়’। হ্যাঁ শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা ছাড়া অনেক কিছু অজানা থেকে যাবে। সারা পৃথিবীর পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, অধিক থেকে অধিকতর ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যা অর্জনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষাকেই বেছে নেয়। আসুন দেখে নিই ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা।Necessity Of Learning English
কেন ইংরেজি ভাষা এতটা দরকারি?
কেন ইংরেজি ভাষা ছাড়া জ্ঞান অর্জন অনেকটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়?
কেন ভালো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি খুজতে গেলে ইংরেজি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়?
এ ধরনের শত শত প্রশ্নের জবাব নিশ্চয়ই আছে ।
একটা কথা পরিষ্কার, নিজেদের আঞ্চলিক সীমার গণ্ডি পেরিয়ে একটু বাইরে গেলেই মত বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ইংরেজিকেই ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে, বিকল্প অন্য কোন ভাষা তেমন একটা পাত্তা পায় না। কারণ ইংরেজি ভাষাটাকে আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলা যেতে পারে। সর্বজনীন ভাষা বললেও অত্যুক্তি করা হবে না।
সাধারনভাবে নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য বলা যেতে পারে, ইংরেজি ভাষা শেখাটা কেন এত দরকারি।
ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
(Necessity Of Learning English)
১)
একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পৃথিবীতে ভাষার মাধ্যমে হিসেবে ইংরেজি ভাষা কে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। সারা পৃথিবীতে যে কোন পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে যদি পরিসংখ্যান করা হয়, তাহলে দেখা যাবে অন্তত একজন ইংরেজি ভাষাটা জানে বা ইংরেজি ভাষা বুঝতে পারে।
২)
আজ আপনি বা আপনার সন্তানকে যদি আরো বেশি উচ্চ শিক্ষিত করতে চান তা সে বিজ্ঞান হোক বা মহাকাশ বিদ্যা হোক বা কম্পিউটারে যে কোন বিষয় হোক না কেন ইংরেজি দরকার হবেই। নিজের দেশেই যদি কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পেতে চান কিংবা বিদেশে গিয়েও যদি কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
৩)
বর্তমানে সারাবিশ্বে ৫৩ টি দেশে অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ইংরেজি কে ব্যবহার করা হয়। সেই সমস্ত দেশে প্রচুর কর্মরত মানুষ একমাত্র ভাষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করে।
৪)
এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে প্রায় 40 কোটি মানুষ প্রথম ভাষা হিসেবে ইংরেজি কে ব্যবহার করে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের মুখের ভাষা তথা মাতৃভাষা ইংরেজী।
৫)
সংবাদ মাধ্যমের প্রধান ভাষা ইংরেজী। আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমগুলি নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু বিশ্ব কেন্দ্রিক খবর বলতে গেলে ইংরাজিতেই হবে। একটা বিষয় পরিষ্কার, কোন ব্যক্তি যদি ইংরেজিতে কথা বলতে পারে, তাহলে সে যে কোনো স্থানে যে কোনো পরিবেশে, কোন দোভাষীর প্রয়োজন ছাড়াই নিজের বক্তব্য বা অপরের কথা দুটোই সমান ভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
৬)
বর্তমান যুগে বলতে গেলে ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই। কারণ ইন্টারনেট ছাড়া প্রায় সবকিছুই অধরা। কোন তথ্যের জন্য আমরা সবার প্রথমেই ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকি। আর ইন্টারনেট এর মূল ভাষায হলো ইংরেজি। মোটামুটি ভাবে বলা যেতে পারে যত ওয়েব সাইট আছে এবং আগামীতে যত সাইট তৈরি হবে তার প্রায় সবকটি মূলত ইংরেজি ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে।
৭)
ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে একটা বিশেষ সুবিধার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। সেটি হল এর বর্ণমালা। মাত্র 26 টি সহজ সরল বর্ণ দিয়ে ইংরেজি বর্ণমালা গঠিত। অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে এত সহজবোধ্য সরলীকরণ দেখা যায় না। ফলে ইংরেজি উচ্চারণ এবং শব্দ গঠন করার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই অন্য ভাষা থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।
৮)
ইংরেজি ভাষা শুধু দরকারি নয় এটা আত্মসন্তুষ্টিও যোগায়। ইংরেজি ভাষা শেখার পর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। ইংরেজি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে একটা ভালো অনুভূতি কাজ করে।
৯)
ভিন্ন ভিন্ন দেশে শিক্ষালাভের জন্য যদি সুযোগ পাওয়া যায়, তাহলে জ্ঞানের পরিসর আরো বাড়বে। কারণ সারা পৃথিবী জুড়ে হাজার হাজার স্কুল বা শিক্ষায়তন আছে, যেখানে ভালোভাবে শিক্ষালাভের সুযোগ থাকে। ইংরেজি ভাষাটা ভালোভাবে রপ্ত থাকলে সেই সুযোগ গুলি খুব সহজেই গ্রহণ করা যায়।
১০)
ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার কারণে ভিন্ন ভিন্ন দেশ, তাদের মানুষজন, তাদের সভ্যতা, আচার-ব্যবহার, তাদের জীবন যাপন পদ্ধতি সব কিছু জানা যাবে এই ভাষার মাধ্যমে।
সুতরাং মনের ভয় দ্বিধাকে এক পাশে সরিয়ে রেখে সর্বজনীন এই ভাষাকে সানন্দে গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি ভালোভাবে এই ভাষাকে রপ্ত করা যায়, তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ এর সাথে জ্ঞান আহরণের অনেকগুলি দ্বার খুলে যাবে।ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা(Necessity Of Learning English)