প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতিহাস(History of Republic Day)
১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ শে জানুয়ারিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন আছে যে প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতিহাস(History of Republic Day) কি? কি কারণে ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল? অন্য কোনও দিন কেন নয়? এর কারণ হল, ১৯২৯ সাল নাগাদ এই দিনেই প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর প্রাধান্যে পূর্ণ স্বরাজএর সঙ্কল্প ঘোষিত হয়েছিল। তাই ভারতীয় সংবিধানের গণপরিষদ কর্তৃক ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর নাগাদ এই দিনটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়।
প্রজাতন্ত্র দিবসের সম্পূর্ণ ইতিহাস(History of Republic Day)-
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভের পরও দেশে কোনও স্থায়ী সংবিধান ছিলনা। সেই সময়ে লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ভারতের শাসক ছিলেন। নতুন ভাবে সংবিধান রচনার কাজ চলছিল এবং এই সংবিধান রচনা শেষ হওয়ার পর ১৬৬ বার অধিবেশনের বসে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ২৬শে জানুয়ারি ১৯৫০ সালে সংবিধান কার্যকরী হয়।
ভারতের রাজধানী দিল্লীতে প্রকাশ্য রাজপথে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান এবং কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। দেশের জন্য এই কুচকাওয়াজের মাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠান করা হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনের থেকে শুরু করে রাইসিনা হিল এর রাজপথ বরাবর কুচকাওয়াজ হয়। প্রথমে ভারতীয় শহীদ সেনাদের উদ্দেশ্যে ফুল এবং মাল্য দান করা হয়, তারপর ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সবশেষে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি ও সকল গণ্যমান্য মানুষেরা একত্রে পথ পরিদর্শন করে থাকেন।
এই বিশেষ দিনে কোন দেশ থেকে কোন বিশিষ্ট ব্যাক্তি অতিথি হয়ে আসবেন তাও নির্বাচন করা হয়। যেমন, ১৯৫০ সালে অর্থাৎ প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ। ২০১৮ সাল নাগাদ ১০ টি দেশ(ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড) থেকে সেই সমস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টাগণ এসেছিলেন। চলতি বছর প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারো।