বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ জাতীয় স্তরে এখনও এন আর সি চালু হয়নি । এদিকে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জ্বলছে গোটা দেশ । রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারন মানুষ, শিক্ষায়তনের ছাত্র ছাত্রীরা এমন কি বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন এবং হচ্ছেন । একটা বেশ বড় প্রশ্ন এই কয়দিন ঘুরে ফিরে আসছে, নাগরিকত্ব ঠিক করার অধিকার কার – রাজ্য সরকারের না কেন্দ্রীয় সরকারের ? কিন্তু এই বিষয়ে ভারতের নাগরিকত্ব আইন কি কথা বলছে জেনে নিই ।
আমরা ‘কান নিয়ে গেল চিলে’ কথাটা অনেকবার শুনলেও অনেক সময় নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়ে নিজের কানে হাত না দিয়ে চিলের পেছনে ছুটতে থাকি । এবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন আমাদের নাগরিকত্ব ঠিক করবে কে ? সেটা কি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে নাকি কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করবে ? আইন বলছে, যেকোনো ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নাগরিকত্ব আইন (২০০৯) অনুসারে। এই আইন নির্ধারিত হবে নাগরিকত্ব আইন (১৯৫৫)-এর ভিত্তিতে। এই আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন নিম্ন লিখিত উপায়ে –
- জন্মস্থান অনুযায়ী ভারতীয় হিসাবে,
- পূর্বসূরী ভারতীয় হলে,
- ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নথিভুক্ত,
- ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনও ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়ে পর্যন্ত বসবাস করলে তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘ন্যাচেরালাইজেশন মোড’। ভারত সরকার কোনও নির্দিষ্ট ভূখণ্ড অধিগ্রহণ করলে সেই স্থানের ব্যক্তিরাও নাগরিকত্ব পাবেন। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘সিটিজেনশিপ বাই ইনকর্পোরেশন’।
তবে নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, যেসব শরণার্থী (ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম সম্প্রদায়) ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বা ধর্মীয় নিপীড়নের আতঙ্কে ভারতে এসেছেন, তাঁরা এই নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। আগে ১১ বছর থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়া যেত, নতুন আইনে পাঁচ বছরেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব।
সুতরাং আইন প্রণয়ন করে সেটা কার্যকর করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকে । এটি সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের বাইরে ।