বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দিন যত এগোচ্ছে করোনাভাইরাস তত বেশী সংক্রামিত হচ্ছে চীনের বাইরে । পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত মোট ২৪ টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । গতকাল এত সাবধানতা সত্ত্বেও জাপানে একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রামিত হয়ে । অন্যান্য সাবধানতা ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাস্ক ব্যবহার করতে । কিন্তু ঠিক কি ধরনের মাস্ক করোনা ঠেকাতে উপযোগী !
এখনও পর্যন্ত এমন কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি, যা দিয়ে একে প্রতিহত করা যাবে । কখন কে কোথা থেকে করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হবে কেউ বলতে পারছে না । কিন্তু ঘরে চুপ করে বসে থাকলে তো আর চলবে না, বাইরে বের হতেই হবে । তবে উপায়! করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মার্কিন জাতীয় সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অন্তত ২০ সেকেন্ড পর পর হাত সাবান বা অ্যালকোহল দিয়ে পরিষ্কার করলে করোনাভাইরাসকে দূরে রাখা যায় । কিন্তু মাত্র ২০ সেকেন্ড অন্তর করা সম্ভব হয় কি বাস্তবে !
এছাড়াও তাঁরা আরও জানিয়েছেন কখনই অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ বা নাকে স্পর্শ না করতে । সেই সাথে ভাল মাস্ক পরে বাইরে বের হতে । এবার ভাল মাস্ক বলতে ঠিক কি বঝান হয়েছে জেনে নিই । আমেরিকার জাতীয় সংস্থা মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে জানিয়েছেন , বাজার চলতি যে সারজিকাল মাস্ক ব্যবহার হচ্ছে সেটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তেমন একটা কাজ করে না । সারজিকাল মাস্কের চেয়ে টিসু অনেক বেশী কাজের । বিশেষ করে হাঁচি, কাশির সময় ।
করোনাভাইরাসের কারনে অনেক দেশেই মাস্কের চাহিদা এখন তুঙ্গে । ভারতেও মাস্কের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে । বাজারে সাধারনত যে মাস্কগুলি পাওয়া যায় সেগুলিতে যে ফিল্টার ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল, N, R, ও P যুক্ত ফিল্টার । এগুলির মধ্যে N ফিল্টার যুক্ত মাস্ক সাধারনভাবে ধুলো বালি থেকে আমাদের ফুসফুস রক্ষা করে । কিন্তু জিবানু থেকে রক্ষা করতে পারে না । এর জন্য দরকার (N) ৯৯ ফিল্টার মাস্ক । এই মাস্ক বেশী কার্যকর সেই বিষয়ে সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর ডেভি ক্যারিংটন বলেন, সার্জিকাল মাস্ক দিয়ে বাতাসে থাকা জীবানু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় কারণ সেগুলো অনেক ঢিলা হয় এবং এর কোন ফিল্টার নেই।