বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ CESC এর বিরুদ্ধে সাধারন মানুষ ক্ষোভে ফুটছে । দেশ জুড়ে লকডাউন, আমফানে ক্ষতি, কিম্বা করোনা সংক্রমণের ভয়, সব কিছুকে টেক্কা দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল । রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা CESC র এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো নিয়ে শুক্রবার বিদ্যুৎ মন্ত্রী CESCর কর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন । সেখানেই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কারন ব্যাখ্যা করা হল ।
CESC র কর্তাদের সাথে রাজ্যের বিদ্যুত্মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার বৈঠক করেন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের জন্য । সেখানে CESC কর্তারা কেন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল যাচ্ছে গ্রাহকের বাড়িতে সেই ব্যাখ্যা দেন । CEDC র পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয় গোটা দেশে । কর্মীর অভাবের জন্য বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল মিটার রিডিং নেওয়া। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাত্সরিক গড়ে বিদ্যুত্ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। তবে তা বিদ্যুত্ ব্যবহারের তুলনায় অনেক কম। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হয়েছে। বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে। তার উপর আবার গ্রীষ্মকালে বিদ্যুত্ খরচ হয় তুলনামূলক বেশি। ফলে গড়পড়তা সকলের বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই বেশি এসেছে ।
তবে CESC র কর্তাদের বেশি বিদ্যুৎ বিল পাঠানোর ব্যাপারে রাজ্যের খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রীও বেশ বিরক্ত হয়েছেন । জানা গেছে, রাজ্যের বিদ্যুত্মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতি মাসে গড়ে ৩/৪ হাজার টাকার বিল আসে । কিন্তু এবার বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা। তাই শুধু সাধারন মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, নিজে ভুক্তভোগী হয়েও একান্ত বাধ্য হয়ে শুক্রবার দুপুরে CESC’র দুই কর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্যুত্মন্ত্রী।
তবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে CESCর কর্তারা মন্ত্রীকে কে সাফাই দিয়েছেন, তাতে মন্ত্রী নিজে সন্তুষ্ট নন । তিনি নিজেই ওই বৈঠকে বেসরকারি বিদ্যুত্ সংস্থার কর্তাদের যুক্তিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না । ফলে CESCর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো নিয়ে এখনই মিমাংসা সমাধান হচ্ছে না ।