বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কালী পূজার আগেই দুঃসংবাদ শুনিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর । প্রচণ্ড শক্তি পাকিয়ে উপকুলের দিকে ধেয়ে আসছে এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় – যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কিয়ার’ । আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিেছিল আরব সাগরে একটি গভীর নিম্ন চাপ তৈরি হয়েছে এবং যার ফলে গত কয়েকদিন ধরে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কঙ্কণ উপকুল অঞ্চল, গোয়া, কর্ণাটকের উপকুল এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা । তবে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’-এখনও সক্রিয় আছে । তীব্র থেকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও পরে অবশ্য শক্তি হারিয়ে উত্তর-পশ্চিমে ওমানের দিকে চলে যাবে কিয়ার৷ তখন এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার৷ তবে ভারতে থাকাকালীন এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের কাছাকাছি৷ এর প্রভাব পড়বে মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং কর্ণাটকে। যার ফলে গুজরাতেও ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসন ভবনের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে এই ঘূর্ণীঝড়ের জেরে মহারাষ্ট্র, গোয়া, উত্তর কর্ণাটক জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হবে ।আগামি তিন দিন ধরে তামিলনাড়ু, কেরলের উপকূলগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে বলে জানা গিয়েছে । তবে ২৫০ কিমি-র বেশী প্রবল ঝড়ো হাওয়ার কথা থাকলেও সেই আশঙ্কা কেটে গেছে, এবং বর্তমানে ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ।
“কিয়ারের” জেরে আগামী ৫ দিন প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গোয়ার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে উপকূলবর্তী কোস্ট গার্ডও । তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করেছে কর্ণাটক প্রশাসন। গুজরাত সরকারও বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে৷ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে৷