বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ হয়ত কিছুটা পূর্বাভাস পাওয়া যায়, কিন্তু প্রকৃতি চলে তার আপন খেয়ালে । এবার বর্ষা ঢুকেছে দেরীতে । কিন্তু দেখা গেছে উত্তর বঙ্গ বন্যা কবলিত এবং দক্ষিন বঙ্গ বৃষ্টির অভাবে চাষ বাস বন্ধ । কিন্তু পরবর্তী দিনগুলিতে যে ভাবে অঝোর ধারায় ঢেলেছে তাতে অনায়াসে বিশ্বকাপে যুবরাজের ছক্কা হাঁকানোর কথা মনে পড়ে যায় । মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে গত ২৫ বছরে এত বৃষ্টি দেয়নি কোনও বর্ষা । ১৯৯৪ সালের পরে এতটা বর্ষার বৃষ্টি পায়নি দেশ। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়িত্ব থাকে বর্ষাকালের। তবে এ বছর বৃষ্টি হয়েছে জুন থেকে অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ।
খাতায় কলমে বর্ষা বিদায় নিলেও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে বৃষ্টি বিদায় নিচ্ছে না রাজ্য থেকে। বুধবার দুপুরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শহরের আকাশ মেঘলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাংলায় উপকূলবর্তী জেলাসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যের এই জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ স্থানেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা প্রায় ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকছে। আলিপুর জানিয়েছে এই বৃষ্টির অন্যতম কারণ উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু ছাড়াও দক্ষিণ কর্ণাটকের উপর তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর তামিলনাড়ু উপকূল থেকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে এই মুহূর্তে কোনও ঘুর্ণাবর্ত নেই।