পশ্চিম বাংলার নাম ‘বাংলা’ রাখার আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । আবার রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার আর্জি জানিয়ে নরেন্দ্র মোদির আগেই চিঠি দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি । বুধবার এই ব্যাপারটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় সহ তৃণমূলের 12 জন সংসদ ।
অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের নাম বদলের জন্য সংবিধানে সংশোধনের প্রয়োজন । কিন্তু সেই ধরনের কোন প্রস্তাব আপাতত নেই । উপরন্তু প্রতিবেশী দেশের নাম বাংলাদেশ হবার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে নামের মিল থাকায় পশ্চিম বাংলার নাম ‘বাংলা’ করা সম্ভব নয় ।
এই দিন 12 জন সংসদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শরণাপন্ন হয়ে প্রায় 30 মিনিট তার সাথে কথা বলেন । প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং শেষ করে তৃণমূলের সংসদীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তাদের বক্তব্য ধৈর্য ধরে শুনেছেন । রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন” । অবশ্য তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল প্রয়োজনে এই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব চলতি অধিবেশনেই যাতে আনা যায় সেই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে করেছিল ।
সূত্রের খবর, এদিন প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের সৌজন্যে দেখিয়ে নানান বিষয়ে খোঁজখবর নেন । এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনায় জখম চোখের অবস্থা এবং চিকিৎসার ব্যাপারেও তিনি জানতে চান । জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ অভ্যর্থনায় তৃণমূল সাংসদরা মুগ্ধ ।
উল্লেখ করা যেতে পারে এর আগে রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক-এ পাঠানো হয় । অপরদিকে হুগলির বিজেপি সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের নাম বদল এর বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, “এটা আসলে ইতিহাস কে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা । এর নেপথ্যে আসল লক্ষ্য প্রয়াত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানকে অস্বীকার করা ।”