ক্রমাগত ফি বৃদ্ধির কারণে গতকাল থেকেই বিশ্বভারতীর চত্বরে চলছে বিক্ষোভ। বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানকার উপাচার্য সহ অধ্যাপকদের আটক করে। কিন্তু বুধবার সকালে কয়েকজন অধ্যাপিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করতে গিয়ে পড়ুয়াদের বাধার মুখে পড়েন কয়েকজন অধ্যাপক। ছাত্রদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতিও হয়। যার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী দের মধ্যে ফি বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ চলছে। যার কারণে আন্দোলন করে তারা। মঙ্গলবার এই কারণে বৈঠক বসানো হয়। ৮০ জন বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ও কর্মসমিতির সদস্য-সহ একাধিক কর্মকর্তারা।

এদিনের বৈঠকে ফি বৃদ্ধির কারণ স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। সেই কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৫২৮ কোটি টাকা ব্যাংক লোন নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সুদ দিতে হবে ৫২ কোটি টাকা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের কাছে ৫০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাত্র ১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য নেওয়া হয়েছে এই ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। যা কোনোভাবেই এই মুহূর্তে কমানো সম্ভব নয়।’

এই কথা শোনার পর আবার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শর্তসাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হলেও ফি  বৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা পিছু হটেছে কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা দিয়েছিল, অ্যাডমিশনের সময় ৫০০ টাকা অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আবেদনকারীর মোট সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। এর মধ্যে যারা ভর্তি হবে, তাদের টাকাই কি শুধু কমানো হবে নাকি যারা ভর্তি হতে পারবেনা তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম?

Payel Kumar is a News Writer at BongDunia. She has a little knowledge about journalism. She has worked with various news agencies in the previous years. She has done her graduation from West Bengal State University.

Leave A Reply