বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ লাদাখে জমি নিয়ে ভারতের সাথে চাপা সংঘাত তো চলছেই, অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর কারন হিসাবে চীনকেই আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করেছে বেশিরভাগ দেশ । এবার বেজিংকে আরও চিন্তায় ফেলে দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিক মার্কিন রণতরী মোতায়েন করেছে আমেরিকা । সামরিক বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরীর এই মহড়া রীতিমত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে ।
এখন গোটা বিশ্বের নজর এখনও চীনের দিকে । এদিকে একে তো করোনার কারণে গোটা বিশ্ব চিনকেই দায়ী করেছে। যদিও প্রমান করা যায়নি, তবুও ইতিমধ্যে বিশাল অংকের ক্ষতিপুরন দাবি করে বসে আছে অনেকেই । একবার প্রমান হয়ে গেলে যথেষ্ট চাপে পড়ে যাবে বেজিং। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই ইন্দো প্যাসিফিক জোনে একাধিক মার্কিন যুদ্ধজাহাজের মহড়া আরও পারদ চড়িয়ে দিচ্ছে । মার্কিন সেনা যুদ্ধজাহাজ নিয়ে চীন সাগরে শক্তি প্রদর্শন করার পিছনে অনেকেই অংক কষতে বসেছেন ।
মার্কিন নৌবাহিনীর তরফ থেকে জানিয়েছে, অতিআধুনিক ইউএসএস রোনাল্ড রেগন এবং ইউএসএস নিমিৎজ ডুয়াল ক্যারিয়ার মহড়া শুরু করেছে। কারণ দক্ষিণ চিন সাগরের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ নিজেদের দখলে রাখতে চিন এখানে অতি সক্রিয়তা শুরু করেছে।এদিকে আমেরিকার দাদাগিরি চীন সোজাভাবে নিচ্ছে না । বেজিং থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী অতি সক্রিয়তার সীমা লঙ্ঘন করছে। অন্য দিকে চীনকে চাপে ফেলতে ফিলিপিন্সও চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাঁরা বলেছে, দক্ষিণ চিন সাগর থেকে অবিলম্বে সরে যেতে হবে বেজিংকে। অন্যথায় ফিলিপিন্স বাধ্য হবে প্রত্যাঘাতের পথে যেতে।
শুধু আমেরিকা বা ফিলিপিন্স নয়, অন্যদিকে অপর এক ক্ষমতাধর দেশ জাপান চীনের পেছনে লেগে গেছে । হংকং নিয়ে জাপানের সাথে চীনের একটা সমস্যা তো চলছেই, তার উপর জাপান এবং চিন দু’পক্ষই মিসাইল একপ্রকার মুখোমুখি মোতায়েন রয়েছে গত মাস থেকেই। সব মিলিয়ে লাদাখ সীমান্তে ভারতের বিরুদ্ধে চীনা সেনাবাহিনীর অতি আগ্রাসী আচরণের পাশাপাশি একের পর এক দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কেরও চরম অবনতি হচ্ছে। এছাড়া ভুটানও সম্প্রতি চিনকে দায়ী করেছে তাদের দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য। সুতরাং চিন আন্তর্জাতিকভাবে রীতিমতো কোণঠাসা।