বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে করোনার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে । কোথাও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও করা হচ্ছে । এরই মধ্যে ৩১ জুলাই শেষ হচ্ছে আনলক ২.০।আগামি মাস থেকেই চালু হতে চলেছে আনলক ৩.০ । এই পর্যায়ে নতুন করে কোন কোন সেক্টর খুলতে পারে তাই নিতে আলোচনা চলছে বিস্তর ।
৩১ শে জুলাই আনলক ২.০ শেষ হবার পর ফের নতুন করে আনলক ৩.০ চালু হবার কথা । ইতিমধ্যে দেশের করোনা পরিস্থিতির যে হাল, তাতে আনলক ৩.০ নিয়ে খুব ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে । কারন আনলক ২.০ পর্যায়ে যেভাবে প্রায় সমস্ত পরিসেবা খুলে দেওয়া হয়েছিল তাতে করোনা সংক্রমণের হার বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে আনলক ৩.০ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির সঙ্গেও এ ব্যাপারে বিস্তর আলোচনা চলছে। যা খবর, তাতে আনলক ৩.০-এ সিনেমা হল ও জিম খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। খোলা হতে পারে এই দুই পরিষেবা।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সিনেমা হল খোলার বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। তবে আনলক ৩.০ পর্যায়ে যদি জিম, সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে তা খোলা হলেও মানতে হবে একাধিক নিয়ম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রস্তাব ২৫ শতাংশ দর্শক নিয়ে খোলা হোক সিনেমা হল। তাতে অবশ্য আপত্তি রয়েছে হল মালিকদের। তাদের বক্তব্য, ২৫ শতাংশ দর্শক নিয়ে হল খুললে তাদের সবটাই লোকসান হবে। এমনকি ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে খুললেও তাদের লোকসান হবে।
এদিকে যেভাবে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপের দিকে চলেছে তাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা কিম্বা করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য সাবধানতা অবলম্বন না করে এই পরিষেবাগুলি খুলে দিলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকছে । এদিকে সিনেমা হল মালিকদের দাবি, অন্যভাবে দর্শকদের জন্য সিনেমা দেখা নিরাপদ করা যেতে পারে। সেটা হল দুটি শোয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানো, দুটি আসনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানো ও টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে হলের মধ্যে খাবারের অর্ডার সবই অনলাইনে করা। সেক্ষেত্রে জমায়েত করার সুযোগ নেই। প্রতিটি শোয়ের মাঝে পুরো হল স্যানিটাইজ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে হল মালিকদের যুক্তি মানা হলেও আরও একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে । বেশির ভাগ জিম কিম্বা সিনেমা হলে এসি চালু থাকে । কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, হলের মধ্যে যে এসি চলে সেটা সমস্যার। কারণ, এসির ফলে হলের ভিতরে কোনও করোনা আক্রান্ত থাকলে তাঁর থেকে ভাইরাস গোটা হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে আনলক ৩.০ পর্যায়ে জিম খোলা হতে পারে। যদিও সেক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম মানতে হবে মালিকদের। ব্যাচ ভাগ করে দিতে হবে জিম করতে আসা ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে। দুটি ব্যাচের মধ্যে ব্যবধান বাড়াতে হবে। সেই সময় স্যানিটাইজ করতে হবে। জিমে ব্যবহার করা যন্ত্র ঠিকমতো স্যানিটাইজ করতে হবে। এবং সবথেকে বড় বিষয় হল একসঙ্গে জিমে যাতে বেশি লোক না থাকে সেটা দেখতে হবে। কারণ, জিমের সময় মাস্ক পরা শরীরের পক্ষে খারাপ। তাই এতটা চিন্তা কেন্দ্রের।