বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্ষা নামার সাথে সাথেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু’র প্রভাব। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের অবস্থা শোচনীয়। পশ্চিমবঙ্গের শহর কলকাতা অবশ্য ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধে নানা প্রকার কঠোর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে, কিন্তু সুরক্ষিত বলে ঘোষণা করা যায়নি আঞ্চলিক এবং সীমান্তবর্তি ছোট ছোট গ্রাম’গুলিকে।
গত জুন, জুলাই মাসে দেগঙ্গায় ডেঙ্গুর প্রভাব তেমনভাবে লক্ষ করা যায়নি। তবে আগস্ট মাস শুরু হতে না হতেই অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা গেছে এখানে। অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। আমুলিয়ার পাশাপাশি দেগঙ্গার কলসুর পঞ্চায়েত থেকেও জ্বর এবং ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে।
অজানা জ্বরে মৃত্যুর তালিকা ক্রমেই লম্বা হচ্ছে দেগঙ্গা এলাকায়। রবিবারের পর সোমবার মৃত্যু হয়েছে আরও এক মহিলা’র। মৃতের নাম নাজিরা বিবি, বয়স ২৮। গত পাঁচদিন ধরে তিনি দেগঙ্গা’র আমুলিয়া পঞ্চায়েতের সন্ধিপুকুর এলাকায় মৃতের বাড়ি। বারাসত হাসপাতালে নাজিরা বিবির মৃত্যু হয়েছে। ঈদের আনন্দের দিনই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের ওপর। পরিবারের দাবি, ডেঙ্গুতেই মৃত্যু হয়েছে নাজিরা বিবি’র। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট এর কোথাও তা লেখা নেই বলেই অভিযোগ পরিবারের।