বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয় মিডিয়ার সামনে আসছিলো। কয়েকদিন ধরে এনজিওর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। গত কয়েকদিন আগেন বাংলাদেশের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বেশ কয়েকটি এনজিও কার্যক্রম পরীক্ষা হচ্ছিলো।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিরোধী তৎপরতায় সহায়তা এবং উস্কানি দেয়ার অভিযোগে দুটি বিদেশি সংস্থা আদ্রা ও আল মারকাজুল ইসলামীর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এ দুটি সংস্থার কক্সবাজারের সকল কার্যক্রম করে বন্ধ দেয়া হয়। সংস্থা দুটির ব্যাংক হিসাব বা আর্থিক লেনদেন স্থগিত করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে গত কাল ইন্টারনেট সেবাও সিমিত করা হয়। প্রশাসনের তথ্য মতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। সরকার এ কার্যক্রম করার মূল উদ্দেশ্য মায়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “সরকারের ভেতরে আলোচনার পর তারা কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমরা কিছু কিছু অবস্থান নিয়েছি। কিছু কিছু অ্যাকশন হচ্ছে যাতে আমরা আরও সুন্দর করে এটা ম্যানেজ করতে পারি। সেজন্য আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এবং কাজ হচ্ছে।“
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্র সহ বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর গুলো নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ব্যবস্থা নেওয়ার পেছনে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের থেকে বলা হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন রোহিঙ্গা শিবিরে ফোন সহ সিম বিক্রি হচ্ছিল। তারা মনে করেন প্রথম থেকেই শিবিরগুলো কঠোর নিয়ন্ত্রনে রাখা উচিত ছিল। এখন এনজিওদের দোষ দিয়ে তেমন লাভ হবে না। তবে আশ্রিত রোহিঙ্গারা মনে করেন কিছু ব্যক্তির কারণে তারা যে মানবিক সহায়তা পাচ্ছিলেন তা যেন বন্ধ না হয়।