বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ করোনাভাইরাস ক্রমশ আতঙ্কের আকার নিয়েছে । বর্তমানে চীন থেকে করোনাভাইরাস পাড়ি জমাচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশে । ইতিমধ্যে চীনে ক্রমশ মহামারীর দিকে চলছে করোনাভাইরাস । সোমবার পর্যন্ত মারাগেছে ৮০ জন এবং প্রায় ২৩০০ জন এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন বলে খবর । এদিকে চীনে অন্যান্য ভারতীদের মধ্যে দুইজন বাঙালি গবেষক সাম্য রায় এবং আরিফ ইসলাম আঁটকে পড়েছেন সেখানে ।
বলতে গেলে সারা বিশ্বের ঘুম উড়িয়ে নিয়েছে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস । ভারতেও এই চীনা ভাইরাসের আতঙ্ক শুরু হয়েছে । বেশ কিছু বিমানবন্দর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা বিশেষ করে নেপাল সীমান্তের উপর বিশেষ নজরদারীর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । বাইরে থেকে কেউ ভারতে প্রবেশ করার সময় বেশ ভাল ভাবে পরীক্ষা করার পর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে । ইতিমধ্যে খবর পাওয়া গেছে চীনে আঁটকে পড়া ভারতীয়দের মধ্যে দুইজন বাঙালি গবেষক আঁটকে পড়েছেন । সাম্য রায় ও আরিফ ইসলাম নামে ওই দুই গবেষক চিনের দুটি ভিন্ন শহরে আটকে রয়েছেন।তাঁরা একদিকে বাইরে বের হতে পারছেন না, অপরদিকে না জুটছে ঠিকঠাক খাওয়া, না পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত পাণীয় জল। সারাক্ষণ মুখে মাস্ক লাগিয়েও আতঙ্ক থেকে মিলছে না রেহাই।
সাম্য রায় পশ্চিম বাংলার বর্ধমানের কালিয়াবাজারের বাসিন্দা । তিনি চিনের হুবেই প্রদেশের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছরের ডক্টরেট ডিগ্রী কোর্স করার জন্য চীনে পাড়ি দিয়েছিলেন ২২ জানুয়ারি । আর এমনই কপাল, ঠিক সেই দিন থেকেই গোটা চিন জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। ছেলের অবস্থা দেখে নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছেন সাম্য রায়ের পরিবার । তাঁর বাবা সুজিত রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কাছে আবেদন করেন, ‘আমার ছেলেকে যাতে দ্রুত চিন থেকে ফিরিয়ে আনা হয়, তার ব্যবস্থা করুন মুখ্যমন্ত্রী।’ এদিকে সাম্য রায় রয়েছেন চিনের হুবেই প্রদেশে । সেখনে করোনাভাইরাসের প্রভাব অনেক বেশী ।
সাম্য রায় জানিয়েছেন, “হুবেই প্রদেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়ংকর। বন্ধ বাজার, ট্রেন চলাচল, বিমান পরিষেবা, ব্যাহত হচ্ছে জরুরি পরিষেবা। এভাবে আটকে থাকতে হলে কীভাবে খাবারটুকু পাওয়া যাবে, আপাতত চিন্তা সেটাই। তাঁর কথায়,’প্রায় তিনশো ভারতীয় ছাত্র ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছে। তার মধ্যে তাঁরা দু’জন বাঙালি। একজনের বাড়ি কলকাতায়। গোটা শহর বন্ধ। ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দু’জন ছাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়েছে।’