বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয়ে দাড়িয়েছে এন আর সি অর্থাৎ নাগরিক পঞ্জিকরন। এপ্রসঙ্গে বিতর্ক বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ, সম্প্রতি কিছুদিন আগে ভারতীয় জনতা পার্টি-র নেত্রী স্মৃতি ইরানি পশ্চিমবঙ্গে এসে এন আর সি-র নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন। এছাড়াও, খুব শীঘ্রই এপ্রসঙ্গে আলোচনা করতে রাজ্যে আসবেন ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এন আর সি চালুকরণের ব্যপক বিরোধিতা করছেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য সমর্থকগণ মিছিলও বের করেছেন। যেনতেন প্রকারে পশ্চিমবঙ্গে এন আর সি হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্য অসমে এন আর সি তালিকা প্রকাশিত হয়ে গেছে, আর সেই তালিকা’য় বাদ পড়েছে অসমের ১৯ লাখের কাছে মানুষ। একারণে বর্তমানে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা’দেরকে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি-র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ বলেছেন, “আসামের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক পঞ্জিকরণ হবে। তাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাদ যাবে।” দিলিপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম হুঙ্কারের সুরে বলেন, “এনআরসি নিয়ে দিলিপ ঘোষ পাগলামি করছে, বাংলায় এনআরসি হলে দিলিপ ঘোষকে বাংলাদেশের যশোহর পাঠিয়ে দেবো।”
এন আর সি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ নিজেদের সমস্ত তথ্যসামগ্রী গোছাতে ব্যস্ত। এপ্রসঙ্গে আরাবুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে দিলিপ ঘোষ পাগলামি করছে, তাই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ব্লক অফিসে ছুটে আসছে কাগজপত্র নিয়ে।”
আবারও তিনি হুঙ্কারের সুরে বলেন, “আমাদের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজপথে নেমে প্রতিবাদ মিছিল করে জানিয়ে দিয়েছে বাংলায় দুই কোটি কেন দুইজন মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক। সুতরাং দিলিপ ঘোষের এই পাগলামি চলবে না। বাংলায় এনআরসি হলে দিলিপ ঘোষকে যশোহরে পাঠিয়ে দেবো।”