শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন ৬ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে দলের জন্য নতুন নতুন হবে সদস্য সংগ্রহ করার কাজ । সেই কাজকে মাথায় রেখে দলের কর্মীদের সতেজ এবং তাজা রাখাটা বেশ জরুরী এবং তাঁর জন্য আজ কোলকাতায় ধর্না মিছিল । আশঙ্কা কড়া হচ্ছে ব্যাপক গণ্ডগোলের । কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ এসেছে সবসময় কর্মীদের আন্দোলনের মধ্যে থাকতে হবে । লোকসভা নির্বাচনে যে সফলতা এসেছে সেতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে । এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যজুড়ে পথে নামছে বিজেপি। সব পুলিশ জেলায় হবে সুপার ঘেরাও অভিযান। আর সেই ঘেরাওকে কেন্দ্র করে গোলমালের আশঙ্কায় সর্বত্র কড়া অবস্থানের পথে পুলিশ, প্রশাসন।
গত ১২ জুন লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কয়েক ঘণ্টায় সেই অভিযান শেষ হয়ে গেলও বেশ কিছুক্ষণের জন্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতার রাজপথ। কাঁদানে গ্যাস আর জলকামানে ঠেকানো হয়েছিল বিজেপির অভিযান। সোমবার জেলায় জেলায় বিজেপির অভিযান ঠেকাতে ততটা শক্তি নিয়ে না নামলেও বিজেপিকে সহজে পুলিশ সুপারদের অফিস ঘেরাও করতে দেওয়া হবে না বলেই ঠিক করেছে রাজ্য প্রশাসন। তার ফলে কোনও কোনও জেলায় সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
আজ দুপুর ১২টা থেকে রাজ্যের সবক’টি পুলিশ জেলায় বিজেপি পথে নামবে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় রাজ্য অথবা জেলা স্তরের একজন করে নেতা উপস্থিত থাকবেন।
এই ঘোষণার সঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে রোজ রাজনৈতিক হিংসা এবং খুন-জখমের খবর আসছে। গত কয়েক দিনে ভাটপাড়া, আমডাঙা, পাত্রসায়র, খণ্ডঘোষ, নরেন্দ্রপুর, চোপড়া থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর এসেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পথে নামা ছাড়া আর কোনও রাস্তা বিজেপির সামনে খোলা নেই বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। দিলীপ রবিবার বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা এখন যে রকম, তা শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, গোটা দেশের চিন্তার কারণ। বিজেপি কর্মীদের রক্ষা করার জন্য রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।’’