বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবারে হয়ত উষ্ণতম হতে চলেছে মাঘ মাস। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে মাঘেই একেবারে উধাও হয়েছে শীত। ভোরবেলা এবং রাতের দিকে হালকা ঠাণ্ডা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উঠছে চড়া রোদ। ফলে একটু পরিশ্রমেই ঝরছে ঘাম, হচ্ছে অস্বয়াস্তি। এই ঝঞ্ঝার ফলে রাজ্যের আকাশ শুধু মেঘলাই থাকবেনা হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। আগামী ৩-৪ দিন যে আবহাওয়া এরকমই থাকবে তেমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আসে পাশে থাকলেও শনিবার হয়তো তাপমাত্রা আরও খানিকটা বাড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ডায়মন্ড হারবারে তাপমাত্রার পারদ পৌঁছেছে ৩১ ডিগ্রীতে। যদিও এর আগে জানুয়ারী মাসে তাপমাত্রার পারদ চড়ার ঘটনা নতুন নয়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে যে, ২০০৬ সালে জানুয়ারী মাসে কোলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

আজ যেখানে আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং রাতে তা হয়ে যেতে পারে ১৭ ডিগ্রীতে। আর কোলকাতার সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রীর আশেপাশে। এই তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাকে দায়ী করেছে আবহাওয়া দফতর। দুটো ঝঞ্ঝা ইতিমধ্যে ঢুকে গেছে কাশ্মীরে, আজ আরও একটি ঝঞ্ঝা ঢুকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর এবং সোমবার আরও একটি ঝঞ্ঝা ঢুকবে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই ঝঞ্ঝার ফলেই রাজ্যে উত্তরে হাওয়া ঢুকতে বাঁধা পাচ্ছে। যদিও কবে নাগাদ এই ঝঞ্ঝা কেটে আবারও শীত পড়বে সেবিষয় সঠিক কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়ার এই রকম পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রকম রোগের আশঙ্খা করছে চিকিৎসকরা। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রাজা ভট্টাচার্য বলেন,” গরম লাগায় দরজা জানালা খুলে রাখা হচ্ছে, গরম জামাকাপড় না পরার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। মাথায় রাখতে হবে শরীর কিন্তু প্রস্তুত নয়। তাই হালকা কিছু চাপিয়ে রাখা ভালো।”

অন্যদিকে জেরিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞ কৌশিক মজুমদার বলেন, ” আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের সময় দু ধরণের সংক্রামণ হয়। এক পেটের, দুই শ্বাসনালীর। কারণ, হঠাৎ করেই মানুষ অসাবধানী হয়ে পড়েন। ফ্যান চালালেও হাল্কা চাদর গায়ে রাখা উচিৎ। এসি কিন্তু একেবারেই চালানো উচিৎ নয়।”

 

Suchandra Chakraborty is a news reporter and content writer at BongDunia. She has completed her masters from Calcutta University on Mass Communication. She has worked in mainstream media at India. Currently, she is working with BongDunia.

Leave A Reply