বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বিদ্যা বালান যিনি ভারতীয় সিনেমার একজন অসামান্য অভিনেত্রী। হিন্দীর পাশাপাশি বাংলা, তামিল, মালায়াম সিনেমায় অভিনয়। অভিনয়ের মাধ্যমের পুরষ্কারের ঝাপিতেও কম অর্জন করেন নি। এ পর্যন্ত পাঁচটি ফিল্মফেয়ার, পাঁচটি স্ক্রিন পুরষ্কার এমনকি ২০১৪ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ পুরষ্কার পদ্মশ্রী পদক পান। ১৯৯৫ সালে হাম পাঁচ সিটকমের মাধ্যমে খুব অল্প বয়সে অভিনয় শুরু করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন। লাগে রাহো মুন্না ভাই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সফলতার শিড়ি ধরতে পারেন।
এখন বিদ্যা বালান বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। অনেকেই মনে করেন বিদ্যা বালানের মুখের হাসির সাথে চোখ দুটোও যেন কথা বলে। অসামান্য অভিনয় দক্ষতার ফ্যানের দিকটা সেই রকম আট থেকে আশি সকলে বিদ্যার ফ্যান। বিদ্যা ৪০ এর কোঠায় পৌছালেও ক্যারিয়ার শুরুর দিন গুলো মনে পড়লে শিউরে উঠেন। পনের বছর আগের কথা যেদিন দক্ষিনী সিনেমার প্রযোজকের সাথে দেখা করতে যান বিদ্যা। কপিশপে দেখা হবার কথা থাকলেও হোটলের রুমে দেখা করতে বলেন।
প্রযোজক হোটেলের রুমের দরজা খোলা রেখেই কথা বলেন। মাত্র ৫ মিনিট কথা বললেও বিদ্যা সেই ৫ মিনিট ছিলেন মারাত্মক আতঙ্কে। ঐ আতঙ্ক আজও মনের মধ্যে রয়ে গেছে। দক্ষিণী ছবিই মাত্র বিদ্যার হোঁচট। একটি ছবিতে সব ঠিক হয়ে গেলেও শেষ মুহুর্তে বিদ্যাকে বাদ দেওয়া হয়। আর প্রযোজক আরেক কাঠি এগিয়ে অফিসে ডেকে বলেছিলেন, “নিজেকে আয়নায় দেখো। কী মনে হয় তুমি হিরোইনদের মতো দেখতে?” বডিশেমিং থেকে শুরু করে তাঁর যোগ্যতা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিদ্যা। সে সময়ে মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। ধীরে ধীরে অবসাদ ঘিরে ধরছিল তাঁকে। বিদ্যার কথায়, “মাসের পর মাস অবসাদে ভুগেছি। মনে হতো আর কোনওদিন ঘুরে দাঁড়াতেই পারব না। নিজেকে আয়নায় দেখতে ভয় লাগত। মনে হতো আমি দুনিয়ার সবচেয়ে কুৎসিত মেয়ে।”
তবে সমস্ত ব্যর্থতা কঠিন সময়ে নিজের পাশে পেয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে। মনের জোর এবং পরিবারের সাহায্যেই আজ তিনি বি-টাউনের দাপুটে অভিনেত্রী। তাঁর সাবলীল অভিনয়ের জন্যই আজ তাঁকে চেনে বিশ্ববাসী।
ডার্টি পিকচার খ্যাত এ অভিনেত্রী এক কাঠি সব সময়ই এগিয়ে থাকেন। তুমহারি সুলু ছবির প্রচারে গিয়ে যৌনতা বিষয়ে কথা বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর যে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হয়েও, জনসমক্ষে আমরা সেক্স নিয়ে কথা বলতে পারি না। এখানে সেক্স বিষয়টাকে খুব নিচু করে দেখানো হয়। কারণ এ দেশের সংস্কৃতিতে যৌনতা মানেই বিয়ে। এ ছবিতে রেডিও জকির ভূমিকায় রাতে যখন বলতে হয় ‘সেক্স আর পাঁচটা কাজের মতোই একটা কাজ। যেমন আমরা বলি চলো ওয়াশিং মেশিন চালাই। তেমনই বলা উচিত চলো, সেক্স করি।’ বিদ্যা নিজেকে তাই আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন।