বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কেরলের শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে গত একবছর ধরে রাজ্য সরকারের সাথে মন্দির পক্ষের মতবিরোধ চলে আসছে । কী হবে শবরীমালার রায়ে? আয়াপ্পা মন্দিরের দরজা কি ফের বন্ধ হয়ে যাবে মহিলাদের জন্য? গোটা দেশ তাকিয়ে শীর্ষ আদালতের দিকে। আজ ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ঋতুমতী মহিলারা আয়াপ্পা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে রায় দেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ।
ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় ৯১৪ মিটার উপরে কেরলের শবরীমালার আয়াপ্পার মন্দির দক্ষিণ ভারতে অন্যতম তীর্থস্থান। এখানে পুজা দিতে আসেন অসংখ্য মানুষ । কিন্তু প্রাচীন মতে শবরীমালায় ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হত না । মানুষের মনে বিশ্বাস ছিল, ঋতুমতী মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করলে মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ আয়াপ্পার কৌমার্যব্রত ভেঙে যাবে। মহিলারা মন্দিরের প্রবেশাধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে । সেই মামলায় ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কেরলে সবরীমালা মন্দিরে আয়াপ্পা দর্শনে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে । তার পর সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য ৬৫টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে ।
তারপর মন্দির মহিলাদের জন্য খুলে দেওয়া হয় । কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কার্যকর করতে পারেনি কেরলের সরকার। মন্দিরে প্রবেশাধিকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজেপি । তাদের দাবী ছিল শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরের দেবতা চির ব্রহ্মচারী । সেটাই এখানকার বিশেষত্ব। হিন্দু ধর্মের আচারের বিরুদ্ধে গেলে গণআন্দোলন শুরু হবে । বর্তমান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে সেই সব আর্জির শুনানি হয়েছে। আজ রায় ঘোষণা করবেন প্রধান বিচারপতি।
সারা দেশ আজ তাকিয়ে আছে কেরলের শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরের রায়ের দিকে তাকিয়ে । অনেকেই আশা করছেন কোর্টের রায়ের পর অশান্তি শুরু হতে পারে ।তবে প্রশাসন রায়দানের পর যে কোন অশান্তি ঠেকানোর জন্য মন্দিরে ২ হাজার ৫০০ পুরুষ ও মহিলা পুলিশ মোতায়েন করেছে ।