লোকসভা ভোটের পর একের পর এক ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পশ্চিম বাংলার শাসক দল তৃণমূলকে । তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ করেই যেন চুপচাপ হয়ে গেছেন । এর উপর হঠাৎ করেই খবর এলো, তৃণমূল কংগ্রেস, সি পি আই, এন সি পি- এর মত দলগুলি আর জাতীয় দলের মর্যাদা পাবে কিনা সেটি একটা বড় প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে ।
কারণ 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর এই দল গুলি আর জাতীয় দলে থাকার শর্ত পূরণ করতে পেরেছে কিনা, তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশন দপ্তর থেকে চিঠি আসতে পারে । নির্বাচন কমিশনের নিয়ম হলো, জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি শর্ত পূর্ণ করতে হবে দলগুলিকে ।
প্রথম শর্ত, তিনটি রাজ্য থেকে অন্তত লোকসভার 2 শতাংশ আসনে জিততে হবে । অবশ্য তৃণমূল এবার মোট 22 টি আসন পেয়েছে । কিন্তু সেটি কেবলমাত্র একটি রাজ্যে হওয়ায় প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে ।
দ্বিতীয় শর্ত হলো, কমপক্ষে চারটি রাজ্যে 6 শতাংশ ভোট পেতে হবে এবং তৃতীয় শর্ত হল, চারটি রাজ্যে তাদের রাজ্য দলের স্বীকৃতি পেতে হবে । তৃণমূলের হাতে বাইশটি লোকসভা ও 13 টি রাজ্যসভা আসন আছে ঠিকই, কিন্তু সবচেয়ে লাখ টাকার প্রশ্ন হল তারা শর্তগুলি সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছে কিনা । যদি করতে পারে, তাহলে জাতীয় দলের মর্যাদা পাবে । আর যদি না করে তাহলে তৃণমূল দলের পক্ষে সমস্যা আসতে পারে ।
আশার কথা এটাই, তিনটি শর্তের মধ্যে যেকোনো একটিও পালন করতে না পারলে যে এই মর্যাদা সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে, সে কথা ঠিক নয় । 2014-র নির্বাচনের পরেও একই ঘটনা ঘটেছিল সি পি আই, সি পি এম, বসপা -র ক্ষেত্রে । তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল । নির্বাচন কমিশনের এক অফিসারের বক্তব্য, এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া । গত বছর অনেকের কাছে নোটিশ গিয়েছিল । তারপর অবশ্য বিষয়টি বেশি দূর এগোয়নি ।