বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ইতিমধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে সারা দেশে নানারকম বাদ-বিবাদের খবর পাওয়া গেছে। একারণে দেশের মানুষের সুরক্ষা, বিশেষ করে কাশ্মীরের বাসিন্দা’দের সুরক্ষা নিয়ে বর্তমানে যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছে প্রশাসন। আর সেকারণেই ইদের দিন (সোমবার) কাশ্মীরে অশান্তি এড়াতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে বড়ো জমায়েত যাতে কোনভাবে না হয়, সেবিষয়ে সাবধান করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
গতকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কাশ্মীর উপত্যকাকে। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর রয়েছে, ঈদের নামাজ পাঠের পর কোথাও কোথাও অশান্তি দেখা দিতে পারে। সেকারণে একদিকে কাশ্মীরবাসীকে ঈদের নামাজ পড়তে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি কাশ্মীরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যে কোনও বড় জমায়েত অশান্তিবাজদের হামলার নিশানা হতে পারে, এই ভয়ে কাশ্মীরের বড়ো বড়ো মসজিদ’গুলিতে বহু মানুষের জমায়েত করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে তাদের স্থানীয় মসজিদেই নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার এর নামাজপাঠ শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছিল, আর সোমবার ঈদের নামাজপাঠ অনুষ্ঠানও কোনরকম অশান্তি ছাড়া পালন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। বিশেষ করে কাশ্মীরের যে সমস্ত এলাকায় আগে বহুবার পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে, সেই সমস্ত এলাকায় বেশী করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর জম্মু এবং কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে পাকিস্তান সহ ভারতের অভ্যন্তরের অনেক বাসিন্দাও। আর সেকারণেই জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি স্থাপন ভারত সরকারের কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ।