রবিবার, ১৭ই মার্চ কক্সবাজার এলাকায় গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরন করে ফেরার পথে জলদস্যুর কবলে পরে জেলেরা তাদের সংগৃহীত সমস্ত মাছ, মাছ ধরার জাল সমস্ত কিছু হারিয়েছেন। জলদস্যুরা তাদের অস্ত্র দেখিয়ে জেলেদের থেকে এসব আদায় করেছে এবং বিশেষ মুক্তিপনের জন্য ট্রলার সহ জেলেদের আটক করেছে। এতে বিপাকে পরেছেন জেলেরা ও ট্রলারের মালিকেরা।
ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সেন্ট মার্টিন, উখিইয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া প্রভৃতি উপকূলে প্রায় ৫৫ টি ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। মুক্তিপন আদায়ের জন্য ১১ জন জেলে সহ ৫ টি ট্রলার অপহরন করেছে। এর জন্য ট্রলার মালিকেরা পুলিশি সহায়তা চাইতে পারছেন না কারণ যেখান থেকে তারা মাছ আহরন করছিলেন সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
গত রবিবার সেন্ট মার্টিন উপকূলে জলদস্যুদের কবলে পরে মিস্ত্রিপাড়ার বাদশাহ মিয়াঁর একটি ট্রলার।দস্যুরা ১২ জন জেলেকে আটক করে কয়েক লাখ টাকার মাছ লুঠ করে। ট্রলারের মালিক বাদশাহ মিয়াঁ বলেন, ” একই সময় তার এলাকারই আরও ১৪ টি ট্রলার আটক করে দস্যুরা “। এছাড়াও তিনি বলেন এখনও ৫ ট্রলার সহ ১০ জন জেলের সন্ধান মেলেনি ।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাস চন্দ্র ধর বলেন, সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১১ টি অস্ত্র সহ ২৫ জন জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছেন। মাঝ সমুদ্রে গিয়ে অভিযান চালানোর মতো জলযান পুলিশের কাছে নেই। র্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব মন্তব্য করেন, ” মাঝ সমুদ্রে ডাকাতির খবর শুনেছি, বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে “।