বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারতে ক্রমশ ভয়ঙ্কর দিকে চলেছে করোনা পরিস্থিতি । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছে । এদিকে কেন্দ্র মানতে না চাইলেও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ধারনা কেরলে ইতি মধ্যে শুরু হয়ে গেছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ।
গোটা ভারতে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে । প্রথম দিকে করোনা মোকাবিলায় কেরল সরকার সফলতা দেখালেও সেখানে ফের দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে । কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরম-সহ পুনথুরা, পুল্লুভিলা এলাকায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। যদিও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির সঙ্গে একমত নয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ধারনা সেখানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে স্থানীয়ভাবে । সংক্রমণের এই প্রবণতা এখনও গোষ্ঠী পর্যায়ে পৌঁছয়নি ।
কেরলের কিছু জায়গায় বিশেষ করে রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে ক্রমেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সেখানকার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে করোনার সংক্রণ উদ্বেগজনক চেহারা নিয়েছে। শুক্রবারের আগে পর্যন্ত কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০,২৭৫। মৃত্যু হয়েছিল ৩৭ জনের। শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১,০৬৬।
ইতিমধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কেরলের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আগামী কয়েকদিন সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শনিবার থেকেই সংক্রমণপ্রবণ এলাকাগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে কেরলে। ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে কেরল রাজ্যে । কিন্তু প্রথম দফায় যেভাবে কেরল সরকার করোনা পরিস্থিতি প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এসেছিল, তাতে দেশের মধ্যে কেরলকেই করোনা মোকাবিলায় মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।
এবার কেরলে ফের দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় বিশেষ করে যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন, সেখানে অন্যান্য রাজ্যের অবস্থা আগামীতে কি অবস্থায় দাঁড়াবে তাই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন । জানাগেছে, আগেরবারের মত কেরল সরকার এবারও করোনা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে । ইতিমধ্যেই লকডাউন পালনে যাতে কোনওরকম ঢিলেমি না হয় সেব্যাপারে তত্পর হতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কেরল সরকার।