বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ নাগরিকত্ব আইনের আঁচ ভাল মতই পরিলক্ষিত হচ্ছে এই রাজ্যে । বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের রোষানলে পড়ে ইতিমধ্যে রেল সহ সরকারী অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । রাজনৈতিক তরজায় মুখরিত সংবাদ মাধ্যম । এবার বহিরাগত নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের উপরেই পাল্টা প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।
গত শুক্রবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল । সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রতিবাদী মিছিলে প্রথম দিনই সোমবার বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘ক্যাব করলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। এনআরসি করলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। তা না হলে করা যাবে না’’। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহিরাগতরা ঢুকেই রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই পাল্টা প্রশ্ন তুলে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অন্য রাজ্য থেকে বহিরাগতরা ঢুকেই এরাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বাংলার মানুষ জানতে চায় এই বহিরাগতরা এরাজ্যে কীভাবে ঢুকল? এর জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত যদিও সত্যিই এগুলো বহিরাগতদের কাজ হয় তাহলে বলতে হবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”
শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন, বলছেন তাঁর মৃহদেহের উপর দিয়ে এই আইন চালু করতে হবে অথচ বিল পাশের সময় ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকা দলের আট সাংসদের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। উনি যদি এতই এই আইনের বিরোধী হন তাহলে ওই সাংসদদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করুন।” মুর্শিদাবাদে রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় । সে প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, “এটা কি কাশ্মীর হয়ে গেল না কি? পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ বলেই আজ ইন্টারনেট বন্ধ করতে হচ্ছে।”
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের জায়গায় জায়গায় অশান্তি চ্রম আকার ধারন করে । রেল অবরোধ, ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া, বাস পোড়ানো থেকে শুরু করে ভাঙচুর সবই চলছে । উত্তেজনা না ছড়াবার জন্য বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের সর্বত রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে তৃণমূল । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কী করবেন সরকার ফেলে দেবেন? ফেলে দিন। তবুও আমরা সম্মানের সঙ্গে লড়ব। আত্মসমর্পণ করব না’’।