বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গোটা দেশে JEE ও NIIT পরীক্ষা নেবার কথা ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই পরীক্ষা দুটি পিছানোর দাবী জোরাল হচ্ছে । এরই মধ্যে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে হওয়াJEE ও NIIT পরীক্ষা পিছনোর দাবীতে পথে নামবে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেস।
জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রদীপ প্রসাদ জানিয়েছেন , ‘সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভানেত্রী শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে ২৮ আগস্ট, বেলা ১১ টায় যদুবাবুর বাজারের মোড়ে ,কংগ্রেসের জেলা অফিসের সামনে দক্ষিন কলকাতা জেলা কংগ্রেস কর্মীবৃন্দের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্বাবধানে হওয়া জেইও ও নিট পরীক্ষা পিছনোর দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী সংগঠিত হবে।’
JEE ও NIIT পরীক্ষায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে অংশ গ্রহণ করে । কিন্তু গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতির কারনে একদিকে যেমন গনপরিবহন ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে, তেমনি এতগুলি ছেলেমেয়েকে করোনা টেস্ট করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া বাস্তবে অসম্ভব । বর্তমানে সারা দেশে লোকাল ট্রেন বন্ধ, শহরে মেট্রো রেল বন্ধ। জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি এখনও।সোশ্যাল মিডিয়াতেও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবী জানিয়েছে ।
দুই দিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠির মাধ্যমে JEE ও NIIT পরীক্ষা পিছিয়ে দেবার অনুরোধ করেন । সুত্রের খবর JEE ও NIIT পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি রাজনীতির মঞ্চে নিয়ে আসতে চলেছে তৃণমূল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘নোটবন্দির সময় থেকেই প্রমাণ হয়েছে, মমতা এগিয়ে ভাবেন। এ ক্ষেত্রেও তিনি সংক্রমণের আশঙ্কায় ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি লড়াইয়ের কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষা হোক তা আমরাও চাইছি। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর জীবনের কথা ভেবে তা পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি।’
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পরীক্ষা না-পিছোনোর দাবিতে সরব হয়েছে ১৫০ জনশিক্ষাবিদ। তাঁদের অভিযোগ, ‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত্ নিয়ে খেলছেন কয়েকজন।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ছাত্র ও যুবরা দেশের ভবিষ্যত্ কিন্তু কোভিড ১৯ অতিমারীর কারণে তাঁদের কেরিয়ারের উপর অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ছেয়ে গিয়েছে। ভর্তি ও ক্লাস নিয়ে প্রচুর সমস্যা রয়েছে, যত শীঘ্র সম্ভব সে গুলির সমাধান করা প্রয়োজন।’