বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: একবার মাথায় ঠোকা লাগলে শিং গজায়! ছোটবেলা থেকে আমরা অনেকেই বাড়ির ঠাকুমা, দিদিমা’দের কাছ থেকে এমন কথা শুনে আসছি। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক যুগে এই যুক্তি তেমন এঁটে উঠতে না পারায় আমরা এটাকে কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাস এর অন্তর্ভুক্ত ধরে নিই। কিন্তু সম্প্রতি এই কুসংস্কার’কে সত্যি বলে প্রমাণ করলেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি।
শ্যামলাল যাদব নামক মধ্যপ্রদেশের রহলি গ্রামের এই বাসিন্দা সম্প্রতি নিজের মাথার শিং অপসারণ করাতে চিকিৎসকের কাছে হাজির হন। ব্যক্তি জানান, বছর পাঁচেক আগে আঘাত লেগে মাথা ফেটে গিয়েছিল তার। এরপর সেই আঘাত সেরে যায় স্বাভাবিক ভাবেই, কিন্তু সেরে যাওয়ার পর থেকেই মাথার ওই অংশ একটু একটু করে ফুলে বাড়তে থাকে। প্রথম প্রথম যখন মাথার তালুতে শক্ত, অসাড় আঙুলের মতো অংশ গজাতে থাকে, স্থানীয় সেলুনে গিয়ে তা চেঁচে আসতেন শ্যামলাল। কিন্তু ক্রমাগত চেঁচে বাদ দিতে থাকায় আরও দ্রুত হারে বড় হতে লাগল সেটি। এরপর দেখতে দেখতে বিগত কয়েক বছরে সেটি ৪ ইঞ্চি লম্বা শিং-এর আকার ধারণ করেছে।
হাসপাতালের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলালের শ্যামলালের মাথায় ‘কটেনিয়াস হর্ন’ বা ‘ডেভিলস হর্ন’ গজিয়েছে। সাগরের ভাগ্যদয় তীর্থ চিকিৎসালয়ে শ্যামলালের মাথার শিংঅস্ত্রপচার করে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত দশ দিন হাসপাতালে রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, চিকিৎসা এখনও বাকি রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। শ্যামলালের মাথায় গজানো ‘কটেনিয়াস হর্ন’ পুরোপুরি ভাবে নির্মূল করতে রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমোথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।