বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা বিশ্বে প্রথম সুসংবাদ নিয়ে এল রাশিয়া । রাশিয়া দাবি করেছে মানব দেহে বিশ্বে তারাই প্রথম করোনা ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল দিতে সক্ষম হয়েছে । রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের এই দাবি সত্যি হলে, বলা যেতে পারে ভারতকে পিছনে ফেলে তারাই বিশ্বে ঞ্জির গড়তে পেরেছে ।
সম্প্রতি রুশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন তারা করোনা ভ্যাক্সিন মানব দেহে সফলভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছেন । রাশিয়ার সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট অফ ট্রান্সন্যাশনাল মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’র ডিরেক্টর ভাদিম তারাসোভ জানিয়েছেন, এক দল স্বেচ্ছাসেবকের উপরে নতুন ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। এই ট্রায়ালে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে প্রথম দলটির উপর পর্যবেক্ষণ প্রায় শেষের মুখে। তাঁদের আগামী বুধবার ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। অন্য দলটিও ট্রায়ালের অধীনে, তাঁরা সম্ভবত আগামী ২০ জুলাই বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ট্রায়াল সফলভাবে করা গেছে ।
চীনের উহান প্রদেশে করোনার সংক্রমণ প্রথম হবার পর জানুয়ারি মাস থেকেই গোটা বিশ্বে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই মারন ভাইরাস । গোটা দুনিয়ার তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা একসাথে এই মারন ভাইরাস করোনার প্রতিষেধক আবিস্কারের জন্য দিন রাত এক করে দিচ্ছেন । কোন প্রকার ভ্যাক্সিন আবিস্কার না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা ছাড়া উপায় থাকছে না দেশগুলির সরকারের । আবার অনেক সময় প্রথম দফায় করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও ফের দ্বিতীয় বারের মত হামলা শুরু হচ্ছে । ফলে করোনা ভাইরাসের মহামারীর প্রকোপে কার্যত স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। এ কথা প্রায় সকলেই বুঝে গেছেন যে এই অসুখের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। এমনই সময়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা জ্বালাল আশার আলো।
রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘গামালেই ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি’ করোনার এই ভাকসিনটি তৈরি করেছে গত মাসে। এর পরে গত মাসেরই মাঝামাঝি করে সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ে এটির হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাঁরাই স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করল বলে দাবি করেছেন সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টটিউট অফ মেডিক্যাল প্যারাসাইটোলজি’, ‘ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ভেক্টর বর্ন ডিজিসেস’-এর ডিরেক্টর আলেকজান্দ্রা লুকাসেভ জানিয়েছেন, ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ের মূল লক্ষ্য ছিল মানব শরীরে এই ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখা। সাফল্য মিলেছে। এই ভ্যাকসিনটি মানবদেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে।
শুধু রাশিয়া নয়, করোনা মহামারীর আবহে এর আগেই বেশ কয়েকবার করোনার প্রতিষেধক আবিস্কার হয়েছে বলে রব উঠেছিল । কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় সেই ভ্যাক্সিন ততটা কার্যকরী হচ্ছে না । তাই অনেকেই ‘গরুর পালে বাঘ পড়ার মত’ করে ঘটনাটি দেখছেন । আবার একেবারে শেষে পৌঁছেও সব ঘেঁটে যাবে না তো, সেই আশঙ্কাতেও ভুগছে চিকিৎসক মহল।