বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ফের নারকীয়ভাবে গণ হত্যা হল নাইজেরিয়ায় । ৩০ জন নিরীহ মানুষকে নারকীয়ভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার জন্য দায়ী করা হল কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন বোকো হারেমকে । জানা গেছে, ৩০ জন নিরীহ মানুষের মধ্যে ছোট ছোট শিশু এবং মহিলারাও ছিল ।
বিশ্ব সংবাদ সংস্থা বিবিসির একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, যারা মারা গেছে তাঁরা প্রত্যেকেই পর্যটক ছিল । রাতের বেলা সকলেই বাসের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল । মৃতদের মধ্যে শিশু ও মহিলারাও ছিল । এই বিষয়ে বোর্নো স্টেটের গভর্নরের মুখপাত্র জানান, মাইদুগরির ওউনো গ্রামে রাত দশটা নাগাদ এই নৃশংস গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গিরা ১৮টি গাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে। মৃতের তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেহু তাংকো নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জঙ্গিরা সব পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর ওই অঞ্চলেরও অনেকে নিখোঁজ। ফলে, তাঁদেরও পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলার জন্য দায়ী করা হয় বোকো হারেমকে । দেশটিতে ২০১২ সালে ৬২০ জন ও ২০১১ সালে ৪৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য জঙ্গি দলটিকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বোকো হারাম তিন থেকে ১০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে একিউআইএমের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়। বোকো হারাম আল-কায়েদার মতো পশ্চিমা শিক্ষা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আত্মঘাতী বোমা হামলা তাদের প্রধান যুদ্ধপদ্ধতি এবং আল-কায়েদার মতো ‘আদর্শ’ বাস্তবায়নে চরমপন্থী। বোকো হারামের যোদ্ধারা প্রশিক্ষণের জন্য সোমালিয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ আফগানিস্তান পর্যন্ত গেছে বলে মনে করা হয়। তবে বেশ কিছু দিন এই বোকো হারেমের সদস্যরা সক্রিয় ছিল না । এই ঘটনা আবার তাদের সক্রিয়তার প্রমান দিচ্ছে ।
তবে জঙ্গি সংগঠন বোকোহারেমকে সন্দেহ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় কাঁধে নেয় নি । তবে আক্রমণের এবং নারকীয় হত্যার ধরন দেখে এটি বোকো হারেমের সদস্যদের কাজ বলে মনে করা হচ্ছে । এছাড়াও ইসলামিক স্টেট ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা নামে আরও একটি জঙ্গি সংগঠন সেখানে সক্রিয়। ফলে, তারাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।