বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে যুদ্ধে নেমে জয় লাভ করল ভূতেরা। মানে এখানে অনিক দত্তের সিনেমা “ভবিষ্যতের ভূতের” কথা বলা হয়েছে। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করেছিল এই সিনেমাটি কিন্তু অনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে সিনেমা হল থেকে তুলে নেওয়া হয় এই সিনেমাটি। ফলে পরিচালক, প্রযোজক এবং সিনেমার কলাকুশলীদের যে অসুবিধার মুখে পরতে হয়েছিল সেই ক্ষতিপূরণ স্বরূপ রাজ্য সরকার তাদেরকে ২০ লক্ষ্য টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বলে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়।
পরিচালক অনীক দত্তের “ভূতের ভবিষ্যৎ” সিনেমাটি মুক্তি পাবার সাথে সাথেই সব দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিল এবং এই সিনেমাটির দরুন বক্স অফিসে দারুণ লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল। সিনেমা ক্রিটিকদের কাছেও প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে চাপ বাড়িয়েছিল এই সিনেমাটি। তাই পরিচালক যখন এর দ্বিতীয়ভাগ দর্শকদের উপহার দেবার কথা ঘোষণা করেন তখনই অনেকেই মনে করেছিল যে, হয়ত এই সিনেমাটি মুক্তির ক্ষেত্রে বাঁধা আসতে পারে। আর হলও তাই। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী সিনেমা হলে মুক্তির পরদিনই সিনেমা হল থেকে বিনা নোটিসে সরিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটি। এর ফলে ভীষণ ধন্ধে পরে যায় দর্শক এবং সিনেমার কলাকুশলীরা।
এই প্রসঙ্গে শহরের সিঙ্গলস্ক্রীন এবং মাল্টিপ্লেক্স মালিকদের জিগ্যেস করে যেমন কোনও সদোত্তর পাওয়া যায় নি তেমনই সরকারও কোনও উত্তর দেয়নি। এই সিনেমাটি রিলিজের আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক অনীক দত্ত বলেছিলেন যে, এই সিনেমাটি তাঁর আগের সিনেমা ভূতের ভবিষ্যতের পরের অংশ নয়। এটি সম্পূর্ণ এই সময়ের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বানানো একটি সিনেমা। তাই সিনেমাটি মুক্তি পাবার পরও কেন সিবিএফসিএর ছাড়পত্র পাওয়া সত্যেও হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলো তার কোনও সঠিক জবাব পাননি পরিচালক। এই প্রসঙ্গে অনেকের অভিমত এই সিনেমাটিতে অনেক রাজনৈতিক এবং সামাজিক ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে বলে সিনেমাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিনেমাটি রিলিজের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক প্রশংসা পায়। এই সিনেমাটির পক্ষে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন অনেক গুনিজনেরা। এদের মধ্যে ছিলেন অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ অভিনেতা এবং সাথে সোচ্চার হয় সোশ্যাল মিডিয়া।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে পাঠানো নোটিশে শীর্ষ আদালত মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং জিডিপি কে এই ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকারকে ২০ লক্ষ টাকা দেবারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রায়ের বেঞ্চ। এখনও এই বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রকম কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।